Fiverr Tips
Fiverr এ কাজ পাবার কিছু টিপস
১. ব্লগিং : আপনি নিজে ফ্রি একটি ব্লগ তৈরী করেন সেটা হোক wordpress.com or blogspot এ এবং সেখানে আপনি আপনার গিগ সম্পর্কিত একটি আর্টিকেল লিখুন আর্টিকেল এর নিচে গিয়া আপনার গিগ এর লিংক দিয়া আসতে পারেন। অথবা আপনি যদি ভালো আর্টিকেল লিখতে পারেন সে ক্ষেত্রে গেস্ট পোস্টিং করতে পারেন যেমন techtunes একটি আর্টিকেল লিখলেন শেষে আপনি আপনার গিগ এর লিংক দিলেন। বলে রাখা দরকার আপনি যে আর্টিকেল লিখবেন সেটি যেন আরেক জনের উপকার হই সেই ধরনের আর্টিকেল যেমন আপনি গ্রাফিক্স সার্ভিস দেন সে ক্ষেত্রে আপনি লিখতে পারেন, কিভাবে লোগো তৈরিতে কি ধরনের রং ব্যবহার করবেন।
২. সোশ্যাল মিডিয়া : বর্তমানে সবচাইতে বেশি ভিসিটর হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া তে।, তার মধ্যে হচ্ছে facebook, twitter, pinterest . এগুলোতে আপনি আপনার গিগ এর শর্ট লিংক শেয়ার করতে পারেন।
৩. ফোরাম : গিগ মার্কেটিং এর জন্য সবচাইতে ভালো জায়গা হচ্ছে ফোরাম এ discussion এ অংশগ্রহন করুন।
৪. ইউটিউব চ্যানেল : আপনি আপনার গিগ নিয়া ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট এর একটি ভিডিও তৈরী করতে পারেন যার মধ্যে আপনি দিতে পারেন,
আপনি কে।
আপনার গিগ এর বর্ণনা।
কেন আপনার সার্ভিস টি সবচাইতে ভালো ইত্যাদি। এবার আপনি সেই ভিডিও এর ডেসক্রিপশন গিয়া আপনার গিগ আর লিংক টি দিয়া আসুন।
৫. ব্লগ কমেন্টস : আপনার গিগ সম্পর্কিত ব্লগ এর আর্টিকেল সার্চ করুন এবং সেখানে গিয়া আপনি কমেন্টস করে আপনার গিগ এর লিংক দিয়া আসুন।
৬. সোশ্যাল বুকমার্কিং: সোশ্যাল বুকমার্কিং ওয়েবসাইট গুলোতে আপনার গিগ এর লিংক বুকমার্কিং করে রাখতে পারেন। বুকমার্কিং সাইট এর মধ্যে Digg, StumbleUpon, Raddit, Delicious, shaldot , etc.
৭. স্লাইড শেয়ার: এটি একটি ওয়েবসাইট যে খানে আপনি পিডিএফ , স্লাইড , ডকুমেন্ট শেয়ার করতে পারবেন। আপনি আপনার গিগ সম্পর্কিত একটি পাওয়ার পয়েন্ট এ স্লাইড তৈরী করুন এবং সেটা উপরের সব জায়গায় শেয়ার করুন।
ফাইবার বায়ার রিকোয়েস্টঃ
ফাইবার বায়ার রিকোয়েস্টঃ এইটা নিয়ে অনেকেই ইনবক্স এ জানতে চান ভাই কেমনে করে লিখলে ভালো হবে, কেমনে ভালো কভার লেটার লিখব, ইত্যাদি ইত্যাদি…।
আমি আজকে আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু জিনিস শেয়ার করবো। কাজে লাগলে লাগতেও পারে 😊
বায়ার রিকোয়েস্ট করে কাজ হয়না, এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমরা যা করি, একই লেখা প্রত্যেক বায়ারের কাছে সেন্ড করি। বিষয়টা এমন, যে স্কুলে থাকতে দেখেছি ১ টা ইংরেজী রচনা পড়লে ৫০টা রচনা লেখা যায়। এখনতো আপনারা সবাই স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে এসেছেন, ভাবুনতো একবার সেই ইংরেজী রচনার মান কেমন হবে। আরো একটা ধারণা আছে আমাদের, ১০/১২ টা অফার সেন্ড হয়ে গেছে এখন আর অফার পাঠিয়ে কাজ হবে না। আমি মনে করি এটা ঠিক না, কারণ বায়ার টাকা খরচ করে কাজ করিয়ে নেবে অথচ প্রথম অফার পাওয়া মাত্রই কাজ দিয়ে দিবে এমনটা না। উনি নিশ্চয়ই কয়েকটা অফার দেখে তারপর অর্ডার করবে। এজন্য আমরা বায়ার রিকোয়েস্ট করার সময় যেভাবে ডিসক্রিপশন লিখতে পারি…
১। বায়ার কি লিখেছে সেটা ভালো করে পড়তে হবে।
২। আমার যে ৪/৫ বছরের অভিজ্ঞতা আছে সেটা না বলাই ভালো। এর পরিবর্তে কিভাবে বায়ারের কাজ করে দিবেন বা কিভাবে কাজটা করলে ভালো হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিন।
৩। তারপর পয়েন্ট আকারে লিখুন.. আপনার কাছ থেকে সে কি কি সুবিধা পাবে যেমন, আনলিমিটেড রিভিশন, দ্রুত ডেলিভেরি দিতে পারবেন, 24/7 যোগাযোগ রাখবেন, সোর্স ফাইল দিবেন কিনা সে বিষয়ে, হাই কোয়ালিটির কাজ প্রোভাইড করবেন… এরকম কিছু কথা লেখা যেতে পারে।
৪। আবারো বলছি, বায়ার কি চেয়েছে সেটার উপর ভিত্তি করেই রিকোয়েস্ট পাঠাবেন।
৫। দ্রুত টাইপ করার চেষ্টা করুন।
৬। মোট কথা বায়ার যদি আপনার অফার টা পড়ে, সে যেন বুঝতে পারে আপনি তার কাজের জন্য যোগ্য ।
আমি এভাবেই কাজ পাওয়ার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করছি। 🙂
ধৈর্য্য ধরুন, রেগুলার বায়ার রিকোয়েস্ট করুন, কাজের ইমপ্রুভ করুন, ইংলিশ স্কিল বাড়ান এক সময় আপনিই হবেন সেরাদের মধ্যে একজন। 🥰🥰🥰🥰
সবার প্রতি শুভকামনা ❤️