Category: তথ্য ও প্রযুক্তি

  • History of Mathematics

    eSchoolbd.com

    History of mathematics

    গণিতের ইতিহাস

    The study of mathematics as a “demonstrative discipline” begins in the 6th century BC with the Pythagoreans, who coined the term “mathematics” from the ancient Greek μάθημα (mathema), meaning “subject of instruction”. … Islamic mathematics, in turn, developed and expanded the mathematics known to these civilizations.💥 গণিতের ইতিহাস 💥🌿🥀ইংরেজি “mathematics” শব্দটি গ্রিক μάθημα (মাতেমা)থেকে এসেছে যার অর্থ “বিজ্ঞান, জ্ঞান, বা শিক্ষণ”; μαθηματικός (মাতেমাতিকোস) অর্থ “জ্ঞানপিপাসু”। বর্তমানে “mathematics” বা গণিত বলতে পরিমাণ, সংগঠন, স্থান ও পরিবর্তনের গবেষণাভিত্তিক বিশেষ ধরনের জ্ঞানকে বোঝায়। প্রাচীনতম গাণিতিক গ্রন্থগুলি মেসোপটেমিয়া এবং মিশর থেকে পাওয়া যায় – প্লিম্পটন ৩২২ (ব্যাবিলনীয় ১৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), রিন্ড গাণিতিক পাপাইরাস (মিশরীয় খ্রি. ২০০০-১৮০০ বিসি)।১৭শ শতকের গণিত 🔴১৭শ শতক সম্পাদনাগ্যালিলিও জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেন এবং তাত্ত্বিক বলবিজ্ঞানের গাণিতিক কাঠামো দাঁড় করান। রনে দেকার্ত বিশ্লেষণী জ্যামিতি উদ্ভাবন করেন; স্থানাংক ব্যবস্থা ও সমীকরণের মাধ্যমে জ্যামিতিক চিত্রাবলীর বর্ণনা দেন তিনি। পিয়ের দ্য ফের্মা সংখ্যাতত্ত্বের ওপর কাজ করেন। ব্লেজ পাসকাল অভিক্ষেপী জ্যামিতির ওপর কাজ করেন। তারা দুজনে মিলে সম্ভাবনা তত্ত্বের আদি পর্যায়ের গবেষণাগুলো শুরু করেন।১৬৩৯ সালে ফরাসি প্রকৌশলী জেরার দেজার্গ অভিক্ষেপী জ্যামিতি উদ্ভাবন করেন। দেকার্ত ও পাসকাল এই আবিষ্কারের প্রশংসা করেন। কিন্তু অপরিচিত পরিভাষার ব্যবহার এবং দেকার্তের বিশ্লেষণী জ্যামিতি সংক্রান্ত গবেষণার জোয়ারে অভিক্ষেপী জ্যামিতির উন্নয়ন ১৯শ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত পিছিয়ে যায়।পাসকাল ও ফের্মা জুয়াখেলার একটি সমস্যার উপর ১৬৫৪ সালে পত্র আদানপ্রদান করতে গিয়ে সম্ভাবনার গাণিতিক গবেষণা আরম্ভ করেন। সমস্যাটি ছিল এরকম: যদি দুইজন জুয়ার খেলায় জেতার জন্য প্রয়োজনীয় { n} পয়েন্ট পাবার আগেই যদি জুয়ার টেবিল থেকে উঠে যেতে চায়, তবে তাদের দুইজনের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা কীভাবে হবে। সমস্ত সম্ভাব্য ফলাফল এবং সংশ্লিষ্ট জেতা জিনিসের পরিমাণ গণনা করে সমস্যাটির সমাধান সম্ভব। পাসকাল দুইজন খেলোয়াড়ের জন্য সমস্যাটির সমাধান করেন। কিন্তু তিন বা তার বেশি খেলোয়াড়ের জন্য সমাধান বের করা তখন সম্ভব হয়নি। এছাড়া পাসকাল তার বাবাকে কর আদায়ের সুবিধার জন্য একটি যান্ত্রিক গণনাযন্ত্র বা ক্যালকুলেটর তৈরি করে দেন।পাসকাল স্পর্শক, ভারকেন্দ্র, উদস্থিতিবিজ্ঞানের ওপর কাজ করেন ও গাণিতিক আরোহী পদ্ধতি আবিষ্কার করেন (পাস্কালের ত্রিভুজ দেখুন)। আইজাক নিউটন ও গটফ্রিড লাইবনিৎস ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেন। গণিতবিদেরা স্বচ্ছন্দে তাদের গবেষণায় অসীমের ব্যবহার শুরু করেন। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে গণিতের স্থান পাকাপোক্ত হয়।১৮শ শতক এর গণিত 🔴১৮শ শতকে ইউরোপ মহাদেশে ক্যালকুলাস গাণিতিক বিশ্লেষণের প্রধান হাতিয়ারে পরিণত হয়। গণিতবিদেরা পদার্থবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের বিভিন্ন সমস্যার উপর ক্যালকুলাস প্রয়োগ করেন। এগুলি করতে গিয়ে তারা গণিতের নতুন নতুন শাখারও উদ্ভাবন করেন।জ্যামিতিতে ফরাসি গণিতবিদ গাসপার মোঁজ্‌ বর্ণনামূলক জ্যামিতি নামের শাখার উন্নয়ন ঘটান। মোঁজ যখন ড্রাফটসম্যান ছিলেন, তখন তাকে এমন একটি প্রতিরক্ষামূলক দেয়াল পরিকল্পনা করতে বলা হয়, যা শত্রুর অবস্থান নির্বিশেষে রক্ষা করা যাবে। মোঁজ তার নিজের উদ্ভাবিত জ্যামিতিক কলাকৌশলের উপর ভিত্তি করে শত্রুর আক্রমণ-রেখা নির্ণয় করেন এবং দেয়ালের পরিকল্পনাটি রচনা করেন। তার বর্ণনামূলক জ্যামিতির পদ্ধতি প্রকৌশল ও নির্মাণ-সংক্রান্ত নানা সমস্যা সমাধানে কাজে লাগে।আরেক ফরাসি গণিতবিদ জোসেফ লুই লাগ্রঁজ বিশুদ্ধ গণিতের প্রায় সকল ক্ষেত্রে অবদান রাখেন। এদের মধ্যে ছিল অন্তরক সমীকরণ, ভেদকলন, সম্ভাবনা তত্ত্ব, এবং সমীকরণ তত্ত্ব। এর বাইরে লাগ্রঁজ বলবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের ব্যবহারিক সমস্যার সমাধানেও তার গাণিতিক প্রতিভাকে কাজে লাগান। তার জীবনের সেরা কাজ ১৭৮৮ সালে প্রকাশিত Mechanique Analytique (বাংলায় বিশ্লেষণী বলবিজ্ঞান)। এই বইতে লাগ্রঁজ ভেদকলন ব্যবহার করে একটিমাত্র সরল অনুমানের উপর ভিত্তি করে প্রবাহী ও কঠিন পদার্থসমূহের বলবিজ্ঞান বর্ণনা করেন।১৮শ শতকের শ্রেষ্ঠ গণিতবিদ সুইজারল্যান্ডের লিওনার্ড অয়লারের মত আর কেউ এত বেশি গবেষণাকাজ প্রকাশ করেননি। বিশুদ্ধ ও ফলিত গণিতের সর্বত্র তার আনাগোনা ছিল। লাগ্রঁজের আগেই তিনি বলবিজ্ঞানের ওপর গুরুত্বপূর্ণ কাজ প্রকাশ করেন। ধূমকেতু ও গ্রহসমূহের কক্ষপথ সংক্রান্ত গবেষণার জন্য তিনি অনেক পুরস্কার পান। কিন্তু তার সেরা কাজ নিঃসন্দেহে বিশুদ্ধ গণিতের উপর। ১৭৪৮ সালে প্রকাশিত Introductio in analysin infinitorum-এ তিনি বক্ররেখার জ্যামিতির দিক থেকে নয়, বরং ফাংশনের দিক থেকে ক্যালকুলাস নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সংখ্যাতত্ত্ব ও অন্তরক জ্যামিতিতেও (যেখানে বক্ররেখা ও বক্ররৈখিক জগতের বৈশিষ্ট্যাবলি অন্তরকলনেরবিংশ শতাব্দীর গণিত 🔴বিংশ শতাব্দীতে গণিতের সমস্ত ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়ন ঘটে। একদিকে গণিতের ভিত্তিতে যুক্তিবিজ্ঞানের ব্যবহার আরও সুদৃঢ় হয়, অন্যদিকে দর্শনশাস্ত্রে প্রতীকী যুক্তিবিজ্ঞানের উন্নয়নে গণিত বড় ভূমিকা রাখে। কেবল দর্শন নয়, গণিত পদার্থবিজ্ঞানের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ও কোয়ান্টাম তত্ত্বেও অবদান রাখে। গণনামূলক গণিত, ক্রীড়া তত্ত্ব ও বিশৃঙ্খলা তত্ত্বের মত নতুন নতুন শাখার আবির্ভাব ঘটে। পদার্থবিজ্ঞান ও অর্থশাস্ত্র গণিতের ব্যবহারের মাধ্যমে তাত্ত্বিক ভিত্তি সুদৃঢ় করে। গণিতের সবচেয়ে বিমূর্ত ধারণাগুলিও ব্যবহারিক কাজে লাগতে শুরু করে, এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গণিতের ভেতরে সীমারেখা টানা দুরূহ হয়ে পড়ে।🔴আর্কিমিডিস কে গণিতের জনক বলা হয়🔴আর্যভট্ট ছিলেন পাটিগণিতের জনক🔴বীজ গণিতের জনক আল খাওয়ারিজমি🔴আর্যভট্ট ছিলেন পাটিগণিতের জনক🔴১-৯ আবিষ্কার করে ফিলিপ ক্যান্টর🔴পরিমিতির জনক হলেন পিথাগোরাস ।🔴গ্রীক জ্যোতিবিজ্ঞানী ও গণিতবিদ Hipparchus of Nicaea (190 BCE – 120 BCE) ছিলেন ‘ত্রিকোণমিতি’ এর জনক🔴ইউক্লিড ছিলেন জ্যামিতির জনক🔴পরিসংখ্যানের জনক স্যার রোনাল্ড এলমার ফিশার FRS (১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯০ – ২৯ জুলাই ১৯৬২) একজন ব্রিটিশ পরিসংখ্যানবিদ এবং প্রজনন বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ছিলেন।🔴শূন্যের জনকঃ ভারতীয় আর্যভট্ট তাঁর গাণিতিক রচনায় শূন্যের ধারণাটি কাজে লাগিয়েছিলেন, তবে তিনি এর জন্য কোনও প্রতীক হিসাবে উল্লেখ করেননি। এর ৪৫০ বছর পরে প্রকৃত প্রতীক “0” এর প্রাচীনতম ডকুমেন্টেশন এবং শূন্য শব্দের উৎসটি এসেছে পার্সিয়ান Source : wiki


    Important Abbreviation and Elaboration

    Important Abbreviation and Elaboration


    admin

    Important Abbreviation and Elaboration


    How to learn spoken English within 10 minutes, super fast, and Easy Way - eSchoolbd.com

    How to learn spoken English within 10 minutes, super-fast, and Easy Way?


    admin

    Do you want to learn spoken English within 10 minutes, super fast and Easy Way? The following tips are just


    how-to-introduce-yourself-at-a-job-interview-eSchoolbd.com

    How to Introduce in English


    admin

    Format _ 1 Introduce Yourself :Format_1:I am Md. Mahfuzul Alam, the son of Mr. Md. Lokman Hakim & Mrs. Mosssammat

    Voice Change


    admin

    Exclusive video lesson on how to Active to passive Exercise : Active to passive


    nctb-books-2021-pdf-download-School-books-Madrasa-book-all class-eSchoolbd.com

    NCTB All Books 2021 pdf download


    admin

    Download pdf Books 2021 All Class (NCTB) ২০২০ শিক্ষাবর্ষের মাদরাসা দাখিল স্তরের বইয়ের তালিকা Facebook Twitter Facebook Youtube WordPress Welcome


    Click here


    Click here


    Click here


    Click here


    Facebook


    Twitter


    Facebook


    Youtube


    Wordpress

    Welcome

    free education programme

    eSchoolbd.com provides FREE educational contents to the students of all stages

    Join UsYouTube

  • Functions key of a computer keyboard

    Functions key of a computer keyboard

    কম্পিউটারের বা ল্যাপটপের কিবোর্ডের ফাংশন Key এর ব্যাবহার

    F1: প্রায় সব প্রোগ্রামেরই হেল্প স্ক্রিন খুলে যায় এই Key টিপলে। অর্থাৎ, ধরুন আপনি কোনও একটি প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানেন না। F1 টিপলেই সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রাম
    সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও প্রশ্নোত্তর সমেত একটি স্ক্রিন খুলে যাবে আপনার ডেস্কটপে।
    F2: কোনও একটি ফাইল বা ফোল্ডারের rename দিতে গেলে, অনেকেই মাউজের সাহায্য নেন। শর্টকাটটা হল F2। মাউজের প্রয়োজনই পড়বে না।
    F3: কোনও একটি অ্যাপ্লিকেশনের (সেই মুহূর্তে যে অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করছেন) সার্চ ফিচার খুলে যায় এই Key টিপলে।
    F4: উইন্ডো বন্ধ করার জন্য F4 দারুণ শর্টকাট। Alt+F4 টিপলে অ্যাক্টিভ উইন্ডো বন্ধ হয়ে যাবে।
    F5: কোনও একটি পেজ রিফ্রেশ বা রিলোড করতে গেলে খামোখা মাউজ নাড়াচাড়ায় সময় নষ্ট না করে F5 টিপে দিন।
    F6: এই Key টিপলে ইন্টারনেট ব্রাউজারে কারসার সোজা চলে যায় অ্যাডড্রেস বার-এ।
    F7: মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা কোনও অ্যাপ্লিকেশনে কিছু লেখার পর বানান ও ব্যাকরণগত কোনও ভুল থাকলে ধরিয়ে দেবে F7।
    F8: উইন্ডোজের বুট মেনুকে ব্যবহার করতে পারবেন এই Key-এর মাধ্যমে।
    F9: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কোনও ডকুমেন্ট রিফ্রেশ করতে চাইলে ও
    মাইক্রোসফট আউটলুকে ই-মেল পাঠানো ও রিসিভের কাজ মিটে যায় এই শর্টকাট Key-এর সাহায্যে।
    F10: কোনও একটি অ্যাপ্লিকেশনে মেনু বার আনতে গেলে বেশির ভাগ মানুষই রাইট ক্লিক করেন মাউজে। দরকারই পড়ে না যদি আপনি shift+F10 ব্যবহার করেন। রাইট ক্লিকেরই কাজ করে।
    F11: ইন্টারনেট ব্রাউজারে ফুলস্ক্রিন মোডে ঢুকতে ও বেরতে কাজ করে F11 Key।
    F12: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ডকুমেন্ট Save as করতে গেলে মাউসের সাহায্য না নিয়ে এই Key-এ শর্টকাটে সেরে ফেলুন।
    ©

  • ফেসবুকের লাগাম টানবে কে?

    এ বিশ্বে অনেক অশান্তির মূলে ফেসবুকের ভূমিকা আছে বলে দেখা যাচ্ছে। ফেসবুক যেন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছে। কোনো কিছুতেই ফেসবুককে বাগে আনা যাচ্ছে না। বড় বড় দেশের আইন, সে আইনের প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিয়ন্ত্রকেরা ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। প্রশ্ন উঠছে, কে লাগাম পরাবে? ঘৃণাভরা বক্তব্য আর ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে ব্যর্থতার পরও বুক ফুলিয়ে এগিয়ে চলেছে। বড় বড় বিজ্ঞাপনদাতা ছেড়ে চলে গেলেও ভয় পাচ্ছে না ফেসবুক। এত ক্ষমতার রহস্য কী? ব্রিটিশ লেখক ও সাংবাদিক ক্যারোল ক্যাডওয়ালার গার্ডিয়ানের অনলাইনে এক নিবন্ধে সে রহস্য খোলাসা করেছেন।

    ক্যারোল বলছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঘরবন্দী অনেক মানুষ ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আশ্রয় খুঁজছেন। এর মধ্যেই আবার সামনে মার্কিন নির্বাচন। ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টায় রয়েছেন অনেকেই। ফেসবুক তার দায়িত্ব-কর্তব্য ভুলে হাঁটছে শুধু ব্যবসা বাড়ানোর দিকেই। তাদের নীতিমালা নিয়ে শত সমালোচনা গায়ে মাখছে না। এর মধ্যে গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে গেছে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড, যার সঙ্গে সে দেশের পুলিশ জড়িত। সারা বিশ্ব যখন বর্ণবাদী আচরণের জন্য প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল, তখন সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলানোর ডাক শুনতে পায়নি ফেসবুক, বরং তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য না সরানোর পক্ষে অটল থেকেছে।

    ফলে ফেসবুকের প্রতি মানুষের আস্থায় ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। ঘৃণ্য বক্তব্যের বিরুদ্ধে ফেসবুক কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ প্ল্যাটফর্ম থেকে বড় বড় বিজ্ঞাপনদাতা সরে যাচ্ছেন। ফেসবুক বর্জনের ডাক দিয়ে চালু করা আন্দোলন ‘#স্টপহেটফরপ্রফিট’ জোরদার হচ্ছে। ফেসবুক থেকে বিজ্ঞাপন বর্জনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ইউনিলিভার, কোকা-কোলার মতো ব্র্যান্ড।

    তবে ক্যারোল ক্যাডওয়ালার লিখেছেন, ফেসবুককে জবাবদিহির মধ্যে আনতে পারে, এমন কোনো শক্তি পৃথিবীতে নেই। কোনো আইন বা নিয়ন্ত্রককে তারা পাত্তা দিচ্ছে না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ব্যর্থ। কুখ্যাত তথ্য কেলেঙ্কারি কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার জন্য ফেডারেল ট্রেড কমিশন যখন ফেসবুককে ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা করল, তখন তাদের শেয়ারের দাম বেড়ে গেল। এখন ইউনিলিভার, কোকা–কোলার মতো প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের বিজ্ঞাপন বর্জনের ডাক যদি সফল হয়, তবে মনে করতে হবে তারা ফেসবুকের দুর্বল জায়গাতে হাত দিয়েছে। আর তারা যদি ব্যর্থ হয়, তবে ধরে নিতে হবে ফেসবুক আরেকটি বড় অর্জনের দিকে যাচ্ছে।

    ফেসবুকের যে পরিস্থিতি, তাতে এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ বেশ আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, ফেসবুক তার অবস্থান বদলাবে না। ঘৃণ্য বক্তব্য নিয়ে পাঁচ শতাধিক বিজ্ঞাপনদাতা ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় জাকারবার্গ এ কথা বলেছেন। দ্য ইনফরমেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনদাতারা ফেসবুক ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সামনে জাকারবার্গ আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ফেসবুক বর্জনের ঘোষণার সঙ্গে সম্মানের বিষয়টিও জড়িত। এটি ফেসবুকের আয়ের সামান্য অংশে হুমকি হতে পারে। যেসব বিজ্ঞাপনদাতা সরে গেছেন, তাঁরা শিগগিরই আবার ফেসবুকে ফিরে আসবেন।

    গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে ক্যারোল অভিযোগ করেছেন, ফেসবুক এমন একটি কোম্পানি, যারা মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য বিদেশি শক্তিকে সাহায্য করেছে। ফেসবুক সরাসরি খুনের ভিডিও সম্প্রচারের সুযোগ করে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে গণহত্যা সংগঠনের জন্য সাহায্য করেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে ঘৃণ্য বক্তব্য ও সহিংসতা ছড়ানো হয়েছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে। এতে হাজারো মানুষ মারা গেছে এবং লাখো মানুষ জীবনভয়ে পালিয়ে গেছে।

    ক্যারোলের দৃষ্টিতে ফেসবুককে তাই আয়না বলা চলে না। একে বলা চলে বন্দুক। তবে সে বন্দুক অনুমোদনহীন। এর নিয়ন্ত্রণ নেই। বিশ্বের ২৬০ কোটি মানুষকে নিয়ন্ত্রণহীন বন্দুক তুলে দেওয়া হয়েছে।

    ক্যারোল লিখেছেন, ফেসবুকের কারণে মিয়ানমারে শত শত মানুষ হত্যা ও দেশ ছাড়ার ওই প্রতিবেদনের কথা ভাবি। যখন আমি ফেসবুকের কর্মীদের মেনলো পার্কে পিংপং খেলার ডকুমেন্টারি দেখি, তখন আরও বেশি মনে হয়। আমি যখন সিলিকন ভ্যালিতে জাকারবার্গের স্বাভাবিক জীবনযাপন দেখি তখন ভাবি, লোকটি এমন একটি কোম্পানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার হর্তাকর্তা, যা পৃথিবীর আগে কেউ কখনো দেখেনি। আমার তখন মনে পড়ে ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রিসার কথা, যিনি ফেসবুকের ক্ষতি সম্পর্কে বোঝাতে গিয়ে জেল খাটছেন। আমার তখন চোখে ভাসে ফেসবুকের পক্ষে ব্রিটেনের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রীর নিক ক্লেগ যখন কলাম হাতে তুলে নিয়ে লেখেন, ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্ম নাকি সমাজের আয়না।

    মানুষ অনেক সময় বলে যে ফেসবুক যদি একটা দেশ হতো তবে তা চীনের চেয়ে বড় হতো। তবে এ তুলনা ভুল। ফেসবুক যদি কোনো দেশ হতো, তবে তা হতো একটি দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র। যেমন একে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এটা যেন বন্দুক নয়, বরং পারমাণবিক বোমা।

    ফেসবুকের সমালোচনা করে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে ক্যারোল লিখেছেন, ফেসবুক কোনো কোম্পানি নয়, এটি স্বৈরতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, একক মানুষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি বিশ্ব সাম্রাজ্যের মতো। ক্ষতির প্রমাণ হিসেবে অনস্বীকার্য, অনির্বচনীয়, অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেও জাকারবার্গ কোনো কিছু কানে তোলেননি। বিশ্বজুড়ে তাঁর সমালোচকদের উপেক্ষা করবেন বলেই তিনি এমন পথ বেছে নিয়েছেন। এর বদলে এটি মূল সংবাদ বিতরণ চ্যানেলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার পরেও নিরলসভাবে, অবিশ্বাস্য, ক্রমবর্ধমান উদ্বেগমূলক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার নাগরিকেরা যেমন দেশটির বাইরে থাকতে পারে না, ফেসবুকও তাদের হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে।

    গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির নিহত হওয়ার প্রতিবাদে দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফেসবুক, টুইটারে পোস্ট দেন, ‘লুটপাট শুরু হলে গুলিও শুরু হবে।’ ট্রাম্পের এই বিতর্কিত পোস্ট সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। গণ-অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় টুইটার কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের ওই পোস্ট ঢেকে দেয়। তবে ফেসবুক ট্রাম্পের ওই পোস্টের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিষয়টি নিয়ে নানা মহল যখন তীব্র সমালোচনায় মুখর, তখন জাকারবার্গ বলেছিলেন, ফেসবুক ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পোস্ট অপসারণ বা ঢেকে দেবে না। এটা তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার সঙ্গে যায় না।

    তবে বিবিসি বলছে, সার্বিক পরিস্থিতিতে চাপে পড়েছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখন থেকে সম্ভাব্য ক্ষতিকর পোস্টে তারা বিশেষ লেবেল বা বার্তা লাগিয়ে দেবে। তবে সংবাদ হিসেবে গুরুত্ব থাকায় তা ছেড়ে দিতে হবে তাদের। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনাতেও সম্মত হয়েছেন জাকারবার্গ।

    গার্ডিয়ান বলছে, #স্টপহেটফরপ্রফিট কর্মসূচিটি মূলত ঘৃণ্য বক্তব্য রোধ করার জন্য হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি নাগরিক অধিকার সংস্থা একত্র হয়ে বিজ্ঞাপনদাতাদের জুলাই মাসে ফেসবুক বর্জন করতে অনুপ্রাণিত করেছে। তবে এটি ফেসবুকে ঘৃণ্য বক্তব্য মুছে ফেলার কর্মসূচি থেকে বড় কিছু। এর প্রভাব যুক্তরাষ্ট্র ছাড়িয়ে অনেক দূর যাবে। কারণ, ফেসবুকের ক্ষতি বৈশ্বিক। গণতন্ত্রের জন্য এটি হুমকিস্বরূপ। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে থাকা তিনটি দেশের নেতৃত্ব ফেসবুকের সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে তাদের প্রচার যেভাবে চালাচ্ছে, তা কি কাকতলীয়? ট্রাম্প, বোলসোনারো আর বরিস জনসন? সম্ভবত নয়।

    জাকারবার্গ কিম জং-উন নন। তাঁর চেয়েও শক্তিশালী। তিনি গত সপ্তাহে বলেছেন, আবার সবাই ফেসবুকে ফিরবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, বড় বড় ৫০০ কোম্পানি ফেসবুক বর্জন করলেও তা ওই প্রতিষ্ঠানের লাভে মাত্র ৫ শতাংশ প্রভাব পড়তে পারে। এতে প্রমাণ হয়, এটা চীনের চেয়ে অনেক বড়। পুঁজিবাদের চেয়ে বেশি কিছু।

    ফেসবুক নিয়ে সবচেয়ে বড় কথা হলো, দিন শেষে এটি আমাদেরই পকেট কাটে। তাই আমাদের বুঝতে হবে, কেউ আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসবে না। দেখেশুনে মনে হয়, ট্রাম্প ও জাকারবার্গ অলিখিত একটি জোট বেঁধে ফেলেছেন। এর পাখা ছাঁটার ক্ষমতা আছে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের। আর ট্রাম্পের মিথ্যা ছড়ানো ঠেকানোর উপায় আছে ফেসবুকের হাতে। আমরা কোন পথে হাঁটব?