Category: Islamic Knowledge

  • Ramadan Dua – রমাদান দোয়া

    মাহে রমজান – Ramadan Dua

    একটা সুন্দর পরিকল্পনা হয়তো পরিবর্তন করে দিতে পারে আপনার জীবন

    নিজে আমল করুন অন্যকে আমল করার জন্য উৎসাহিত করুন

    শেয়ার করুন যত পারেন। এইটাও ইনশাআল্লাহ আমলের অংশ হয়ে যাবে।

     

    আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর অশেষ রহমতে আরো একটি রমজানের দ্বারে এসে পৌছালাম। আলহামদুলিল্লাহ। মৃত্যুর বিশ্বাষ নেই একটি সেকেন্ডেরও। হয়তো পোস্টটি লিখার পর আমিও ইন্তেকাল করতে পারি। হয়তো মাহে রমজানের দিনগুলো এই গুনাহগার বান্দার ভাগ্যে ঝুটতে নাও পারে যদি ইন্তেকাল করি। আল্লাহ আমাকে নেক হায়াত দিক এই আসন্ন রমজানে যেন বেশি বেশি আমল করতে পারি, সকলেই দোয়া করবেন আমার জন্যে।

    হয়তো অনেকেই এই পোস্টটি যখন পড়ছেন, তখন হয়তো মাহে রমজানের দিন অতিবাহিত হচ্ছে।

    আমরা প্রায় সময় দেখি, অনেকেই নিয়ত করি রমজান থেকে নিয়মিত নামায পড়বো, কোরআন পড়বো, কিন্তু বস্তুত আসলে হয় না বিষয়টা। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করতে হবে যারা আপনারা রেগুলার নামাজের সাথে যুক্ত, আমলের সাথে যুক্ত। মুল কথা যদি বলি, আমরা অনেকেই আছি যারা নিজেরা ইবাদত করি কিন্তু অন্যকে ইবাদত করতে উৎসাহিত করি না। কিন্তু এই বিষয়টাই যদি আমরা ঠিক করতে পারি, তাহলে হয়তো বেশি নামাজি লোক বের করে নিয়ে আসতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

    ::::::যে পরিকল্পনা নিয়ে আমার এই পোস্ট:::::::

    আপনাদের মধ্যে যারা যারা নামাজী ভাইয়েরা আছেন, আপনাদের একটা করনীয় কাজ হতে পারে আসন্ন রমজানে আপনার আশে পাশের প্রত্যেক ভাই বোনকে নামাজের জন্য দাওয়াত করা। অনেকেই দেখবেন নামাজের সময়ে মসজিদের সামনে দিয়ে ঘুরে চলে যায়। সালাতের জন্য আযান দেওয়া সত্বেও নামাজের দিকে অগ্রসর হয় না। আমাদের মধ্যে নিয়মিত নামাজী যেই সব ভাইয়েরা আছি, যদি নামাজের (জামাত শুরু হবার 5 মিনিট) আগে মসজিদের সামনে দাড়িয়ে, যেখানে মানুষজন হাটা হাটি করে, সেখানে প্রত্যেক মসজিদ ডিঙিয়ে যাওয়া লোকদের যদি নামাজের জন্য দাওয়াত করি, তাহলে হয়তো নামাজে তার মন আসতে পারে। আল্লাহ হেদায়েত করলে সব কিছুই সম্ভব।

    এমন হতে পারে, রাস্তা দিয়ে যাবার সময় যাদের দেখবো মসজিদগামী না, বা কাজে কর্মে ব্যস্ত তাদের যেতে যেতে দাওয়াত করতে পারি নামাজের জন্য।

    এলাকার ছোট বড় ভাই বা বন্ধুদের আমরা বলতে পারি, নামাজের জন্য, কোরআন তিলাওয়াত করার জন্য। রোজা রাখার জন্য।

    তাদের রমজানের ফজিলত সম্পর্কে অবগত করতে পারি। রমজানের বিভিন্ন আমলগুলো সম্পর্কে অবগত করতে পারি। এতে করে তাদের হয়তো আল্লাহ রহম করতেই পারেন।

    নামাজ, রোজা আর কুরআন তিলাওয়াতের জন্য তাগিদ দিতে পারি নিজের পরিবার বর্গের মাঝে। ভাই বোন সবার মাঝে।

    এতে আপনার লাভ কি হতে পারে সেটা মনে হয় আর বলতে হবে না। আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে কেমন পুরস্কারে পুরস্কিত করতে পারেন, তার ধারনা আপনার এই ছোট্ট মাথায় আসবে বলে মনে হয় না।

    তো এই রমজানে আপনাদের কি কি করনীয় নিশ্চয় আর বলার দরকার নাই।

     

    (তবে আমার দ্বীনি ভাই Mam Shuman ভাইয়ের ওয়াল থেকে একটা পোস্ট কপি করে দিলাম। আশা করছি সবার কাজে লাগবে।

    রমজান মাস উপলক্ষে নিজের জন্য রিমাইন্ডার হিসাবে মাট ৪ টা হাদিস সামনে রাখলাম !)

     

    আল্লাহ এই পবিত্র মাসকে আমার/আমাদের জন্য গূনাহ মাফের ওয়াসিলা বানিয়ে নিন !

    ১)

    «وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ أَتَى عَلَيْهِ شَهْرُ رَمَضَانَ فَلَمْ يُغْفَرْ لَهُ ، وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ»

    ‘‘যে ব্যক্তি রমাদান মাস পেলো অথচ তার গুনাহ মাফ করাতে পারল না সে ধ্বংস হোক’’ [শারহুস সুন্নাহ : ৬৮৯]।

    ২) আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ বলেছেন :

    إِنَّ الْمُؤْمِنَ يَرَى ذُنُوبَهُ كَأَنَّهُ فِي أَصْلِ جَبَلٍ يَخَافُ أَنْ يَقَعَ عَلَيْهِ وَإِنَّ الْفَاجِرَ يَرَى ذُنُوبَهُ كَذُبَابِ وَقَعَ عَلَى أَنْفِهِ فَقَالَ لَهُ هكَذَا فَطَارَ.

    “মুমিন ব্যক্তি তাঁর পাপকে খুব বড় করে দেখেন, যেন তিনি পাহাড়ের নিচে বসে আছেন, ভয় পাচ্ছেন, যে কোনো সময় পাহাড়টি ভেঙ্গে তাঁর উপর পড়ে যাবে। আরা পাপী মানুষ তার পাপকে খুবই হালকাভাবে দেখেন, যেন একটি উড়ন্ত মাছি তার নাকের ডগায় বসেছে, হাত নাড়ালেই উড়ে যাবে।” বুখারী (৮৩-কিতাবুদ দাআওয়াত, ৪-বাবুত তাওবাহ) তিরমিযী (৩৮-কিতাব সিফাতিল কিয়ামাহ, ১৫-বাব..সিফাত আওয়ানিল হাওয)

    ৩)

    হযরত আবু হুরাইরা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ  বলেছেন :

    وَاللهِ إِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِينَ مَرَّةً.

    “আল্লাহর কসম! আমি দিনের মধ্যে ৭০ বারেরও বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং তাওবা করি।” বুখারী (৮৩-কিতাবুদ দাআওয়াত, ৩-বাব ইসতিগফারিন নাবিয়্যি) ৫/২৩২৪

    ৪) 

    মুমিন যে কোনো ভাষায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। ভাষা বা বাক্যের চেয়ে মনের অনুশোচনা ও আবেগ বেশি প্রয়োজনীয়। তবে রাসূলুল্লাহ -এর শেখানো বাক্য ব্যবহার করা উত্তম।

    এক টি হাদিস মতে সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার হচ্ছে-

    اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِيْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِيْ فَاغْفِرْ لِيْ فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ

    উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা, আনতা রাব্বী, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, খালাক্বতানী, ওয়াআনা ‘আবদুকা, ওয়াআনা ‘আলা- ‘আহদিকা ওয়াওয়া‘অ্দিকা মাস তাতা‘অ্তু। আ‘ঊযু বিকা মিন শাররি মা- স্বানা‘তু, আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা, ওয়াআবূউ লাকা বিযামবি। ফাগ্ফিরলী, ফাইন্নাহু লা- ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা- আনতা।

    অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আপনি ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আমি আপনার কাছে প্রদত্ত অঙ্গিকার ও প্রতিজ্ঞার উপরে রয়েছি যতটুকু পেরেছি। আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমি যে কর্ম করেছি তার অকল্যাণ থেকে। আমি আপনার কাছে প্রত্যাবর্তন করছি আপনি আমাকে যত নিয়ামত দান করেছেন তা-সহ এবং আমি আপনার কাছে প্রত্যাবর্তন করছি আমার পাপ-সহ। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আপনি ছাড়া কেউ পাপ ক্ষমা করতে পারে না।” সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩০৬।

    ফযিলাত: ‘‘যে কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের বেলা এই দু‘আটি (সাইয়েদুল ইসতিগফার) পাঠ করবে ঐ দিন সন্ধ্যা হওয়ার আগে মৃত্যু বরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে এবং যে কেউ ইয়াকিনের সাথে রাত্রিতে পাঠ করবে ঐ রাত্রিতে মৃত্যুবরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে।’’ [সহীহ আল-বুখারী : ৬৩০৬]

    মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকেই এই রমজানে কবুল করুন। আমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করুন। আমাদের ইমানকে মজবুত করে দিন। আমলের বরকত বাড়িয়ে দিন। আল্লাহ আমাদের প্রতিটি রোজা রাখার তৌফিক দান করুন। রমাজানের সাথে সাথে যেন ফরজ সকল ইবাদতও অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে পারি সেই তৌফিক দান করুন। রোজার সকল হকগুলো যেন পুরন করতে পারি। এই কামনা। আল্লাহ হাফিজ

    স্বাগতম হে মাহে রমজান

    Shared text


    Facebook


    Twitter


    Facebook


    Youtube


    Wordpress

    Welcome

    free education programme

    eSchoolbd.com provides FREE educational contents to the students of all stages

    Join UsYouTube

    Click here


    Click here


    Click here


    Click here

    01
    Uploading . . . 
    02
    Uploading . . . 
    Daily Talks 03 VDO

    [embedyt] https://www.youtube.com/embed?listType=playlist&list=

    &layout=gallery[/embedyt]

    Daily Talks 04

    Updating every day … 

    Daily Talks 05

    Updating every day … 

    Daily Talks 06

    Updating every day … 

  • How to Oju-Wadu

    How to Oju-Wadu

    আপনারা সবাই অযুর দোয়া, নিয়ত ও নিয়ম জানতে চাচ্ছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে অযুর দোয়া ও নিয়ত ও নিয়ম দেওয়া আছে। আপনারা সেটা নিচে গিয়ে দেখে নিতে পারবেন। আর ওযুর নিয়ত নিয়ম এবং দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন। তো চলুন নিচে গিয়ে দেখে নেয়া যাক আপনারা কিভাবে ওযুর নিয়ম পালন করবেন। ওযুর নিয়ত করবেন এবং ওযুর জন্য যে দোয়া করতে হয় সেটি করবেন। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানা সকলেরই জরুরী।

    অযুর দোয়া ও নিয়ত নিয়ম

    একজন মুসলিম খুব নিষ্ঠার সঙ্গে নামাজ আদায় করলেন। কিন্তু তার ওযুর জন্য তিনি দোয়া করেন নি এবং অজুর জন্য যে নিয়ম সেটাও তিনি মানেননি। সে ক্ষেত্রে তার নামাজ সহিহ ভাবে আদায় হবে না। নামাজের আদায়ের মূলকথা হলো সুন্দরভাবে এবং নিয়ম অনুসারে ওযু করতে হবে।

    তাই আপনারা যারা ওযুর নিয়ম ব যারা জানেন না তারা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। আর আপনাদের প্রতিদিনের জন্য আল্লাহর প্রতি যে ইবাদত-বন্দেগী করবেন। সেটার জন্য এটি খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

    ওযু কি

    অজু হল নামাজের আগে বা কোন পবিত্র কাজের আগে শরীর এবং মনের পরিশুদ্ধতা গ্রহণ করা। ওযুর ফরজ চারটি। এই চারটি ফরজ মেনে যদি আপনি ওজু করতে পারেন তাহলে আপনার সকল কাজে বরকত আসবে। ওযু করার মধ্য দিয়ে শরীর এবং মনের পবিত্রতা অর্জন করা যায়।

    মন ফুরফুরে থাকে মনে। প্রশান্তি আসে এবং যে কাজ করা যায় সেই কাজে সফলতা অর্জন করা যায়। তাই নামাজ পড়া, কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা এবং অন্য কোন পবিত্র কাজে আপনারা অজু করুন।

    ওযু করার সঠিক নিয়ম

    ওযু করার সঠিক নিয়ম যদি আপনারা জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি ভাল করে পড়ুন। আপনি যদি সহীহভাবে এবং সঠিকভাবে ওযু করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে ওযুর নিয়ত করতে হবে। এজন্য আপনি প্রথমে বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করলেন। উভয় হাতের কব্জিসহ আপনাকে তিনবার ধৌত করতে হবে। তারপরে আপনি যদি উভয় হাতের আঙ্গুলগুলো খিলাল করেন তাহলে খুবই ভালো।

    এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মেসওয়াক করার কথা বলেছেন। আর ওযুর সময় তিনবার মেসওয়াক করা সুন্নত। এই মেসওয়াক করে নেওয়ার পর আপনি তিনবার কুলি করে নেবেন। একইভাবে তিনবার নাকে পানি দিয়ে দিবেন। এরপর সমস্ত মুখ আপনি তিনবার ধোবেন।

    মুখমন্ডল যেন ধৌত হয় পুরোপুরিভাবে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ডান হাত এবং বাম হাতের কনুইসহ আপনারা আবার তিনবার করে ধৌত করবেন। তারপরে সমস্ত মাথা একবার মাসাহ করতে হবে। কান মাসাহ করবেন। তার সাথে সাথে সবগুলো সম্পূর্ণ হয়ে গেল। আপনারা ডান পায়ের টাখনুসহ এবং বাম পায়ের টাখনুসহ তিনবার ধৌত করবেন। দুই পায়ের আংগুলের মধ্যখানে খিলাল করবেন। এভাবে আপনি আপনার ওযু সম্পন্ন করতে পারবেন।

    ওযু করার দোয়া

    অজু করতে হলে আপনাকে দোয়া করতে হবে। কারণ ওযুর যদি আপনি দোয়া পড়েন তাহলে এটি খুবই উত্তম। আর এই দোয়া পড়তে পারলে আপনি অনেক সওয়াবের অধিকারী হবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা ওযুর দোয়া দেখে নিন। যখন অযু করবেন তখন এই দোয়াগুলো পাঠ করবেন। শেষে আকাশের দিকে তাকিয়েও দোয়া করা যায়। আপনারা সেই দোয়াগুলো করতে পারেন।

    ওযু করার নিয়ত

    ওযু যেহেতু মনের পরিশুদ্ধি এবং আত্মার পরিশুদ্ধি, তাই আপনাকে ওযু করার জন্য মনে মনে নিয়ত করতে হবে। সে নিয়ত হতে হবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ আপনি একটা ভালো কাজের জন্য অজু করছেন।

    সেই কাজটি যেন সুন্দরভাবে এবং সফলভাবে সম্পন্ন হয় সেই নিয়াতে মনে মনে করবেন। এতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে। তাই আপনারা ওযু করার সময় ওযুর নিয়ত মনে মনে করে ফেলুন।

    কিভাবে অজু করতে হয়?

    কিভাবে অজু করতে হয়? তার মানে আপনি একেবারে জানেন না ওযু কিভাবে করতে হয়। তার জন্য জেনে নিন যে এভাবে অজু করতে হয়। ওযু করার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন আছে। যেগুলো আপনাকে মানতে হবে। আর ওযু করতে হবে। আপনাকে পানির মাধ্যমে।

    তাই প্রথমে আপনাকে আগে পবিত্র জায়গায় পরিষ্কার পানি সংগ্রহ করতে হবে। পানি সংগ্রহ করার পর আপনারা উল্লেখিত নিয়ম অনুসারে অজু করতে পারবেন। সেজন্য আপনাদের দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধরতে হবে। কুলি করতে হবে। নাকের ভিতরে পানি পৌঁছাতে হবে।

    ওযু করার নিয়মাবলী ও দোয়া

    ওযুত মানেই নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ। তাই আপনাদের ওযুর নিয়মাবলি জানতে হবে। তার সাথে আপনাদের ওযুর দোয়া ও করতে হবে। যদি আপনারা ওদের সঙ্গে নিয়মাবলী জানেন এবং সে অনুযায়ী দোয়া করেন। তাহলে আপনাদের অজু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।

    ওযু করার নিয়মগুলিতে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “যে ব্যক্তি পূর্ণ ভাবে ওযু করা শেষে কালেমা শাহাদাত পাঠ করবে, তার জন্য বেহেশতে আটটি দরজা খুলে যাবে। সে যে দরজায় ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।” তাহলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ওযু করার নিয়মাবলী ও দোয়া জেনে নিন।

    ওযু করার পদ্ধতি

    নামাজ বা কোন প্রকৃত কাজ অর্জনের জন্য অজু করা বাধ্যতামূলক। তাই আপনারা ওযুর পদ্ধতি আমাদের ওয়েবসাইটের উপরে দেওয়া তথ্য অনুসারে মেনে চলুন। উপরে উল্লিখিত নিয়ম অনুসারে আপনার ওযু করার পদ্ধতি জেনে নিন। অযথা একটিব নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই এটিকে সহীহ শুদ্ধভাবে করা প্রতিটি মুসলিমের উচিত।

    ওযু করার পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনারা যোগাযোগ করেন। তারপরে কালেমা শাহাদাত পাঠ করেন। তাহলে আপনাদের জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা হয়ে যাবে।

    যেহেতু অজু একটি নামাজের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত সেহেতু এটি ফজিলত এর দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটাকে মেনে চলুন। আর যথাযথভাবে এবং সহিহভাবে সুন্দর ভাবে ওযু করে নিন।

    আমার নিজের সুখের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা রাব্বুল আলামিনের কাছে সপে দিন। বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত করা হবে। আপনারা এই নিয়মিত ইসলামিক পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট

    #Ojur_Niyam #Wadu

  • How to perform Umrah Hajj

    How to perform Umrah Hajj

    eSchoolbd.com

    How to perform Umrah Hajj

    ওমরা পালনের ধারাবাহিক নিয়ম ও দোয়া

    ওমরা পালনের ধারাবাহিক নিয়ম ও দোয়া

    সারাবিশ্ব থেকে লাব্বাইক ধ্বনিতে পবিত্র নগরী মক্কার দিকে যাচ্ছে মুমিন মুসলমান নর-নারী। যাদের অনেকেই মক্কা গিয়েই আদায় করবেন ওমরা। হজের আগে নারী-পুরুষের ওমরা পালনের ধারাবাহিক নিয়মগুলো যেমন জেনে নেয়া জরুরি। তেমনি ওমরার রোকনগুলোতে পড়া দোয়া গুলোও জেনে নেয়া জরুরি।

    ওমরা আদায়ে নারী-পুরুষের জন্য রয়েছে নির্ধারিত ৪টি কাজ ও গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। ৪টি কাজ সম্পাদনে নারী পুরুষের জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। যা তুলে ধরা হলো-

    >> ইহরাম বাধা।

    >> কাবা শরিফ (৭ চক্করে) তাওয়াফ করা।

    >> সাফা-মারওয়া মধ্যবর্তী (সবুজ বাতি) স্থানে ৭ (সাত) বার সাঈ করা।

    >> হলক করা। পুরুষরা পুরো মাথার চুল ছোট করবে বা মুণ্ডন করবে আর নারীরা চুলে আগা কর্তন করার মাধ্যমে হালাল হয়ে যাবে।

    (ক) ইহরাম পরিধান

    ইহরাম শব্দের আভিধানিক অর্থ হল হারাম বা নিষিদ্ধ। ইসলামের ভাষায় ইহরাম অর্থ নির্দিষ্ট কিছু পোশাক পরিধান করার মাধ্যমে নিয়ত ও তালবিয়া সহকারে আপাত দৃষ্টিতে কিছু হালাল কাজকেও নিষিদ্ধ বলে মেনে নিয়ে হজ্জ বা উমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করা। পুরুষরা ইহরামের জন্য প্রস্তুত কৃত সাদা দুটি চাদর ও মহিলারা তাদের সাধারণ পোষাক পড়ার মাধ্যমে ইহরাম বাধবেন।

    ইহরাম পরিধান হজ্জ এবং উমরাহের প্রথম শর্ত

    ইহরাম বাধার পূর্বে বেশ কিছু অবশ্যকরণীয় কাজ আছে। এগুলো হলঃ

    ১। ইহরাম বাধার আগে সব ধরনের শারীরিক পরিচ্ছন্নতা অর্জন করতে হবে। যেমন হাত পায়ের নখ কাটা, গোফ, চুল ও নাভীর নীচের লোম পরিষ্কার করা ইত্যাদি।

    ২। ইহরাম বাধার আগে গোসল করা সুন্নত।

    ৩। এর পর পুরুষদের সেলাইবিহীন পোশাক ও মহিলাদের যেকোন উপযুক্ত পোশাক পরিধানের মাধ্যমে ইহরাম বাধতে হবে।

    ৩। গোসলের পর ওযু করে ২ রাকাত নফল নামায পড়তে হবে।

    ৪। মিকাত বা তার পূর্বে উমরাহের নিয়ত করতে হবে।

    ৫। এর পর তালবিয়া পড়তে হবেঃ

    লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক, লাব্বাঈক, লা-শারীকা-লাকা লাব্বাঈক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা ওয়াল-মুল্ক, লা শারীকালাক।”

    অর্থ: আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোন অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার। আপনার কোন অংশীদার নেই।

    পুরুষদের উচ্চ স্বরে এবং নারীদের অনুচ্চ স্বরে তালবিয়া পড়তে হবে।

    ইহরাম বাঁধার পর নিষিদ্ধ কাজ সমুহ

    ইহরাম বাধার পর কিছু কাজ আছে যেগুলো নিষিদ্ধ। আপাত দৃষ্টিতে অনেক হালাল কাজও নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। এগুলো হলঃ

    ১) সেলাইযুক্ত যে কোন কাপড় বা জুতা ব্যবহার, এক্ষেত্রে স্পঞ্জ সেন্ডেলের ব্যবহার করতে হবে।

    (২) মস্তক ও মুখমন্ডল (ইহরামের কাপড়সহ যে কোন কাপড় দ্বারা) ঢাকা।

    (৩) পায়ের পিঠ ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।

    (৪) চুলকাটা বা ছিড়ে ফেলা।

    (৫) নখকাটা।

    (৬) ঘ্রানযুক্ত তৈল বা আতর লাগানো।

    (৭) স্ত্রীর সঙ্গে সংগম করা।

    (৮) যৌন উত্তেজনামূলক কোন আচরণ বা কোন কথা বলা।

    (৯) শিকার করা।

    (১০) ঝগড়া বিবাদ বা যুদ্ধ করা।

    (১১) চুল দাড়িতে চিরুনী বা আঙ্গুলী চালনা করা, যাতে ছিড়ার আশংকা থাকে।

    (১২) শরীরে সাবান লাগানো।

    (১৩) উকুন, ছারপোকা, মশা ও মাছিসহ কোন জীবজন্তু হত্যা করা বা মারা।

    (১৪) যে কোন ধরণের গুনাহের কাজ করা।

    নারী-পুরুষের ওমরার ধারাবাহিক বিস্তারিত নিয়ম ও দোয়া

    প্রথম কাজ : ইহরাম বাঁধা (ফরজ)

    নির্ধারিত মিকাত থেকে (সম্ভব হলে) গোসল করে অথবা অজু করে নেয়া। পুরুষরা সেলাইবিহীন ২টি কাপড় পরবে। আর নারীরা পর্দাসহ শালীন পোশাক পরবে। অতঃপর ২ রাকাআত নামাজ পড়ে ইহরামের নিয়ত করে নেবে-

    اَللَّهُمَّ اِنِّي اُرِيْدُ العُمْرَةَ فَيَسِّرْهُ لِيْ وَ تَقَبَّلْهُ مِنِّي

    উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল উমরাতা ফাইয়াসসিরহু লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি’

    অর্থ : হে আল্লাহ! আমি ওমরার ইচ্ছা করছি; আপনি আমার জন্য তা সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন।’

    অতঃপর তালবিয়া পড়বে (১ বার তালবিয়া পড়া শর্ত)

    لَبَّيْكَ اَللّهُمَّ لَبَّيْكَ – لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ – اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ – لاَ شَرِيْكَ لَكَ

    উচ্চারণ : ‘লাব্বাইকা আল্লা-হুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্‌নিমাতা লাকা ওয়ালমুল্‌ক, লা শারিকা লাক।’

    তালবিয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ দোয়াটিও পড়বে-

    اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ رِضَاكَ وَ الْجَنَّةَ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ غَضَبِكَ وَ النَّارِ

    উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিদাকা ওয়াল জান্নাতা ওয়া আউ’জুবিকা মিন গাদাবিকা ওয়ান্নারি’

    অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টি ও জান্নাতের আশা করছি এবং আপনার অসুন্তুষ্টি ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।’

    বাংলাদেশ থেকে যারা প্রথমে মক্কায় যাবেন তারা বাসা কিংবা হজ ক্যাম্প থেকে ইহরামের কাজ সম্পন্ন করে নেবে।

    মসজিদে হারামে প্রবেশ

    ওমরা উদ্দেশ্যে মসজিদে হারামে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করে এ দোয়া পড়া-

    بِسْمِ اللهِ وَ الصّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ

    أعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْم وَ بِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَ سُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ

    اَللهُمَّ افْتَحْ لِىْ اَبْوَابَ رَحَمَتِكَ

    উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ। আউজুবিল্লাহিল আজিম ওয়া বি-ওয়াজহিহিল কারিম ওয়া সুলতানিহিল কাদিমি মিনাশশায়ত্বানির রাজিম। আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা।

    কাবা ঘর দেখে এ দোয়া পড়া-

    اَللَّهُمَّ أَنْتَ السّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ حَيِّنَا رَبَّنَا بِالسَّلَامِ اَللَّهُمَّ زِدْ هَذَا الْبَيْتَ تَشْرِيْفاً وَ تَعْظِيْماً وَ تَكْرِيْماً وَ مَهَاَبَةً وَ زِدْ مَنْ شَرّفَهُ وَ كَرّمَهُ مِمَّنْ حَجَّهُ وَاعْتَمَرَهُ تَشْرِيْفاً وَ تَعْظِيْماً وَ بِرُّا

    উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালামু হাইয়্যিনা রাব্বানা বিস্‌সালাম। আল্লাহুম্মা যিদ হাজাল বাইতা তাশরিফান ওয়া তা’জিমান ওয়া তাকরিমান ওয়া মুহাবাতান; ওয়া জিদ মান শার্‌রাফাহু ওয়া কার্‌রামাহু মিম্মান হাজ্জাহু ওয়া’তামারাহু তাশরিফান ওয়া তাকরিমান ওয়া তা’জিমান ওয়া বির্‌রা।

    দ্বিতীয় কাজ : তাওয়াফ করা (ফরজ)

    ওমরার দ্বিতীয় ফরজ কাজ হলো কাবা শরিফ তাওয়াফ করা। হাজরে আসওয়াদ চুম্বন, ইসতেলাম (স্পর্শ) বা হাজরে আসওয়াদ বরাবর কোনায় দাঁড়িয়ে কাবার দিকে ফিরে দুই হাত দিয়ে ইশারা করে পুরুষরা ইজতিবা ও রমলসহ আর নারীরা সাধারণভাবে তাওয়াফ শুরু করবে আর এ দোয়া পড়া-

    بِسْمِ اللهِ اَللهُ اَكْبَر – اَللَّهُمَّ اِيْمَنًا بِكَ و بصديقًا بِكِتَابِكَ وَرَفَعًا بِعَهْدِكَ وَ اِتِّبَعًا لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ

    উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার; আল্লাহুম্মা ইমানান বিকা ওয়া তাসদিকান বিকিতাবিকা ওয়া রাফাআন বিআহদিকা ওয়া ইত্তিবাআন লিসুন্নাতি নাবিয়্যিকা।’

    তাওয়াফের সময় কাবা শরিফ ও হাজরে আসওয়াদকে বাম দিকে রেখে রোকনে শামি ও রোকনে ইরাকি অতিক্রম করে রোকনে ইয়ামেনিতে আসবে। এ স্থানে তালবিয়া, তাকবির তাসবিহ ইত্যাদি পড়বে।

    অতঃপর (সম্ভব হলে) রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শ করবে। সম্ভব না হলে দূর থেকে ইশারা করে হাজরে আসওয়াদের দিকে অগ্রসর হবে এবং কুরআনে শেখানো এ দোয়া পড়বে-

    رَبَّنَا اَتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّ فِى الْاَخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

    উচ্চারণ : রাব্বানা আতিনা ফিদদুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াক্বিনা আজাবান্ নার।’

    হাজরে আসওয়াদ পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে এক চক্কর সম্পন্ন হবে। এভাবে সাত চক্কর দেয়ার মাধ্যমে পুরো এক (ফরজ) তাওয়াফ সম্পন্ন হবে।

    ইজতিবা ও রমল

    ফরজ তাওয়াফের জন্য পুরুষরা ইজতিবা ও রমল করবে। এটি নারীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। আর তাহলো-

    – ইজতিবা

    পুরুষরা গায়ের চাদরটিকে মুঠিবদ্ধ করে বাম কাধের ওপর দিয়ে পিঠ ঘুরিয়ে ডান বগলের নিচ দিয়ে এনে বুকের ওপর থেকে বাম কাঁধের ওপর দিয়ে পেছনে ফেলা। এভাবে বাহাদুরি সুলভ আচরণ প্রকাশে গায়ের চাদর পরাই হলো ইজতেবা। আর এটা করা সুন্নাত।

    – রমল

    ফরজ তাওয়াফের প্রথম ৩ চক্করে রমল করাও সুন্নাত। দুই হাত শরীর ও কাঁধ হেলিয়ে দুলিয়ে দ্রুত গতিতে প্রথম ৩ চক্কর সম্পন্ন করা। এভাবে তাওয়াফ করাকে রমল বলে।

    তাওয়াফে রমল ও ইজতিবা পুরুষের জন্য পালন করা সুন্নাত। এটা নারীদের জন্য নয়।

    মাকামে ইবরাহিমে নামাজ

    তাওয়াফ শেষে সম্ভব হলে মাকামে ইবরাহিমে কিংবা মাকামে ইবরাহিমের ওই দিকটায় ২ রাকাআত নামাজ আদায় করা। নারীদের নামাজের জন্য ওই দিকটায় নির্ধারিত স্থানও রয়েছে।

    অতঃপর ঝমঝমের পানি পান

    মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করে ঝমঝমের পানি পান করে নেয়া। মাতআফের চর্তুদিকে ঝমঝমের পানির ঝার/ড্রাম রয়েছে। যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ঝমঝমের গরম পানির ব্যবস্থাও রয়েছে।

    তৃতীয় কাজ : সাফা-মারওয়ায় সাঈ করা (ওয়াজিব)

    ঝমঝমের পানি পান করে ধীরে ধীরে সাফা পাহাড়ে আরোহন করা। সাফা ও মারওয়া পাহাড় দুটি কাবা শরিফের পাশেই অবস্থিত। ‘আবদাউ বিমা বাদাআল্লাহু বিহি ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শাআইরিল্লাহি’ বলে এ পাহাড় দুটি মাঝে ৭ বার আসা-যাওয়া করাকে সাঈ বলা হয়।

    সাঈতে করণীয়-

    কাবা শরিফ তাওয়াফের পর মাকাকে ইবরাহিমে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করে মসজিদে হারামের বাবুস সাফা দিয়ে সাফা পাহাড়ে আরোহন করা। সাফা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে এ আয়াত পাঠ করা-

    إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَا وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ

    উচ্চারণ : ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিং শাআয়িরিল্লাহি ফামান হাজ্জাল বাইতা আয়ি’তামারা ফালা ঝুনাহা আলাইহি আঁইয়্যাতত্বাওয়াফা বিহিমা ওয়া মাং তাত্বাওওয়াআ খাইরান ফাইন্নাল্লাহা শাকেরুন আলিম।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৫৮)

    এ আয়াতটি সাফা পাহাড়ের ওপরে গম্বুজের মধ্যে লেখা রয়েছে। চাইলে যে কেউ তা দেখে দেখেও পড়ে নিতে পারবেন।

    – সাফা পাহাড় থেকে কাবা শরিফ দেখা যায়। কাবার দিকে ফিরে আলহামদুলিল্লাহি আল্লাহু আকবার (اَلْحَمْدُ لِلَّهِ اَللهُ اَكْبَر) বলে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।

    – অতঃপর এ দোয়াটি ৩ বার পড়ে সাফা পাহাড় থেকে মারওয়ার দিকে চলা শুরু করা-

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر – لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ – لَهُ المُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ يُحْيِى وَ يُمِيْتُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيئ قَدِيْر

    لَا اِلَهَ اِلَّا الله وَحْدَهُ أنْجَزَ وَعْدَهُ – وَ نَصَرَ عَبْدَهُ وَ هَزَمَ الأحْزَابَ وَحْدَهُ

    উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হাম্দু ইউহয়ি ওয়া ইউমিতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু আনজাযা ওয়াহদাহু ওয়া নাসারা আবদাহু হাযাামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।’

    সবুজ চিহ্নিত স্থান

    সাফা পাহাড় থেকে চলা শুরু করতেই পড়বে ‘সবুজ চিহ্নিত স্থান’। এ স্থানটিকে লাইট দিয়ে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। পুরুষরা এ স্থানটি দৌড়ে অতিক্রম করবে আর নারীরা স্বাভাবিকভাবে হেটে হেটে অতিক্রম করবে।

    সবুজ চিহ্নিত স্থানে এ দোয়া পড়া-

    رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَ اَنْتَ الْاَعَزُّ الْاَكْرَمُ

    উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতাল আআযযুল আকরাম।’

    সবুজ চিহ্নিত স্থান অতিক্রম করে নারী-পুরুষ সবাই স্বাভাবিক গতিতে হাটবে। আর তাসবিহ পড়বে-

    اَللهُ اَكْبَر – اَللهُ اَكْبَر- اَللهُ اَكْبَر- وَ لِلَّهِ الْحَمْدُ

    اَللَّهُمَّ حَبِّبْ اِلَيْنَا الْاِيْمَانَ وَ كَرِّهْ اِلَيْنَا الْكُفْرَ وَالْفُسُوْقَ وَالْعِصْيَانَ وَاجْعَلْنَا مِنْ عِبَادِكَ الصَّالِحِيْنَ

    উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদু। আল্লাহুম্মা হাব্বিব ইলাইনাল ইমানা ওয়া কাররিহ ইলাইনাল কুফরা ওয়াল ফুসুক্বা ওয়াল ইসয়ানা ওয়াঝআলনা মিন ইবাদিকাস সালিহিন।’

    মারওয়া পাহাড়ে আরোহন

    সাফা থেকে গিয়ে মারওয়া পাহাড়ে ওঠা। সেখানে গিয়ে আবার সাফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া। সেখানে এ দোয়া পড়া-

    اَللهُ اَكْبَر – اَللهُ اَكْبَر- اَللهُ اَكْبَر- وَ لِلَّهِ الْحَمْدُ – لَا اِلَهَ اِلَّا الله وَحْدَهُ صَدَقَ وَعْدَهُ وَ نَصَرَ عَبْدَهُ وَ هَزَمَ الأحْزَابَ وَحْدَهُ – لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ

    وَ لَا نَعْبُدُ اِلَّا اِيَّاهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَفِرُوْنَ – رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَ اَنْتَ الْاَعَزُّ الْاَكْرَمُ

    إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ ۖ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَا ۚ وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ

    উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদু। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু সাদাক্বা ওয়াদাহু ওয়া নাসারা আবদাহু ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা নাবুদু ইল্লা ইয়্যাহু মুখলিসিনা লাহুদদ্বীন ওয়া লাও কারিহাল কাফিরুন। রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতাল আআযযুল আকরাম। ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিং শাআয়িরিল্লাহি ফামান হাজ্জাল বাইতা আয়ি’তামারা ফালা ঝুনাহা আলাইহি আঁইয়্যাতত্বাওয়াফা বিহিমা ওয়া মাং তাত্বাওওয়াআ খাইরান ফাইন্নাল্লাহা শাকেরুন আলিম।’

    সাফা পাহাড়ে আসার সময়ও সবুজ চিহ্নিত স্থানে আগের নিয়মে পুরুষরা দ্রুত আর নারীরা স্বাভাবিকভাবে হেটে হেটে আসবে পূর্বোল্লিখিত দোয়া পড়া-

    رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَ اَنْتَ الْاَعَزُّ الْاَكْرَمُ

    উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতাল আআযযুল আকরাম।’

    এভাবে আসা-যাওয়া মিলিয়ে ৭ বার চলাচলের মাধ্যমে সাঈ সম্পন্ন হবে। সাঈ শেষ হলে এ দোয়া পড়া-

    رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الَعَلِيْمُ – وَ تُبْ عَلَيْنَا اِنَّكَ اَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحَيْمُ –

    وَ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى خَيْرِ خَلْقِهِ مُحَمَّدٍ وَّاَلِهِ وَ اَصْحَابِهِ اَجْمَعِيْنَ وَارْحَمْنَا مَعَهُمْ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ

    উচ্চারণ : ‘রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাছ্ ছামিউল আলিম। ওয়অতুব্ আলাইনা ইন্নাকা আংতাত্ তাওয়্যাবুর্ রাহিম। ওয়া সাল্লাল্লাহু তাআলা আলা খাইরি খালক্বিহি মুহাম্মাদিউ ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাইন ওয়ারহামনা মাআহুম বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’

    ওমরার শেষ কাজ : মাথা মুণ্ডন করা (ওয়াজিব)

    সাফা এবং মারওয়া পাহাড়দ্বয় সাঈ করার পর মাথা মুণ্ডন করা অথবা মাথার চুল ছেটে ফেলা। আর নারীরা চুলের আগার দিকে কিছু অংশ কাটার মাধ্যমে ইহরাম থেকে বের হয়ে যাবে।

    উল্লেখ্য যে, যারা হজে ক্বিরান আদায় করবে তারা মাথা মুণ্ডন করবে না। আর যারা তামাত্তু হজ করবেন শুধু তারাই মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম থেকে হালাল হবে। আর ইফরাদ হজ আদায় কারীর জন্য তো ওমরা করার প্রয়োজন নেই।

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ নিয়মে ওমরা আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


    Click here


    Click here


    Click here


    Click here


    Facebook


    Twitter


    Facebook


    Youtube


    Wordpress

    Welcome

    free education programme

    eSchoolbd.com provides FREE educational contents to the students of all stages

    Join UsYouTube

  • Islamic Dua after Salat

    Islamic Dua after Salat

    eSchoolbd.com

    🍀সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ🌳
    সহীহ সুন্নাহ থেকে ফরজ সালাত সমাপান্তে সবার জন্য পঠিতব্য দুয়া ও জিকির সমূহ উপস্থাপন করা হল:
    (1) اَللهُ أَكْبَرُ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ-

    উচ্চারণ : ১. আল্লা-হু আকবার (একবার পড়বে)। আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ (তিনবার)।

    অর্থ : আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।[ 📚মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মুসলিম, 📚মিশকাত হা/৯৫৯, ৯৬১ ‘ছালাত পরবর্তী যিকর’ অনুচ্ছেদ-১৮।]

    (2) اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَ الْإِكْرَامِ.

    ২. আল্লা-হুম্মা আন্তাস্ সালা-মু ওয়া মিন্কাস্ সালা-মু, তাবা-রক্তা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরাম।

    অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনিই শান্তি, আপনার থেকেই আসে শান্তি। বরকতময় আপনি, হে মর্যাদা ও সম্মানের মালিক’। ‘এটুকু পড়েই ইমাম উঠে যেতে পারেন’। [মুসলিম, 📚মিশকাত হা/৯৬০। উল্লেখ্য যে, শায়খ জাযারী বলেন, এই সাথে ‘ইলায়কা ইয়ারজি‘উস সালাম, হাইয়েনা রববানা বিস সালা-ম, ওয়া আদখিলনা দা-রাকা দা-রাস সালাম…’-বৃদ্ধি করার কোন ভিত্তি নেই। এটি কোন গল্পকারের সৃষ্টি। -মিশকাত আলবানী হা/৯৬১-এর টীকা দ্র:।]

    এই সময় তিনি তাঁর স্থান থেকে একটু সরে গিয়ে সুন্নাত পড়বেন, যাতে দুই স্থানের মাটি ক্বিয়ামতের দিন তার ইবাদতের সাক্ষ্য দেয়।
    যেমন আল্লাহ বলেন,

    يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا

    ‘ক্বিয়ামতের দিন মাটি তার সকল বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে’।[📚যিলযাল ৯৯/৪; নায়ল ৪/১০৯-১০ পৃঃ]

    وَعَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ: كَانَ يَقُولُ فِىْ دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ: لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ اَللّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

    মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব ফরয সলাতের পরে এ দু‘আ পড়তেনঃ ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর, আল্ল-হুম্মা লা- মা-নি‘আ লিমা- আ‘ত্বয়তা, ওয়ালা- মু‘ত্বিয়া লিমা- মানা‘তা, ওয়ালা- ইয়ানফা‘উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু’’ (অর্থাৎ আল্লাহ ভিন্ন কোন উপাস্য নেই। তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর কোন অংশীদার নেই! রাজত্ব একমাত্র তারই এবং সব প্রশংসা একমাত্র তাঁর জন্যে। তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি যা দান করো, কেউ নেই তা ফিরাবার। আর যা তুমি দান করতে বারণ করো, কেউ নেই তা দান করার। ধনবানকে ধন-সম্পদে পারবে না কোন উপকার করতে আপনার আক্রোশ-এর সামনে)। (📚মিশকাতুল মিসাবীহ,৯৬২ সহিহ : বুখারী ৮৪৪, মুসলিম ৫৯৩।)

    وَعَن عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ إِذَا سَلَّمَ مِنْ صَلَاتِه يَقُولُ بِصَوْتِهِ الْأَعْلى: لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّهِ، لَا إِلهَ إِلَّا اللهُ وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَو كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

    গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
    অধ্যায়ঃ পর্ব-৪ঃ সলাত (كتاب الصلاة)
    হাদিস নম্বরঃ ৯৬৩

    ‘আবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সলাতের সালাম ফিরানোর পর উচ্চকণ্ঠে বলতেন,

    ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর, লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ, লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়ালা- না‘বুদু ইল্লা- ঈয়্যাহু, লাহুন্ নি‘মাতু, ওয়ালাহুল ফাযলু, ওয়ালাহুস্ সানা-উল হাসানু, লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু মুখলিসীনা লাহুদ্দীন, ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন’’

    (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর এবং তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাশীল। কোন অন্যায় ও অনিষ্ট হতে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় নেই এবং কোন সৎ কাজ করারও ক্ষমতা নেই একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া। আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা‘বূদ নেই, আমরা একমাত্র তাঁরই ‘ইবাদাত করি, যাবতীয় নি‘আমাত ও অনুগ্রহ একমাত্র তাঁরই পক্ষ থেকে এবং উত্তম প্রশংসাও তাঁর। আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা‘বূদ নেই। আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তাঁর জন্য একনিষ্ঠভাবে মান্য করি, যদিও কাফিরদের নিকট তা অপ্রীতিকর।)। 📚মুসলিম ৫৯৪, يَقوْلُ بِصَوْيَه لْأَ عْلى শব্দটি মুসনাদে শাফি‘ঈর। কিন্তু সহীহ মুসলিমের শব্দ হলো يهلل بهن। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

    عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَال أَخَذَ بِيَدِه رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَقَالَ إِنِّيْ لَاحِبُّكَ يَا مُعَاذُ فَقُلْتُ وَاَنَا اُحِبُّكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ فَلَا تَدَعْ اَنْ تَقُوْلَ فِـىْ دُبُرِ كُلِّ صَلَوةٍ رَبِّ أَعِنِّيْ عَلـى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ . رَوَاهُ أَحْمَدُ وأَبُوْ دَاوٗدَ وَالنَّسَائِـيُِّ اِلَّا اَنَّ اَبَا دَاؤُدَ لَمْ يَذْكُرْ قَالَ مُعَاذُ وَّاَنَا اُحِبُّكَ

    গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
    অধ্যায়ঃ পর্ব-৪ঃ সলাত (كتاب الصلاة)
    হাদিস নম্বরঃ ৯৪৯
    মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরে বললেন, হে মু‘আয! আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমিও সবিনয়ে নিবেদন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমিও আপনাকে ভালোবাসি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তাহলে তুমি প্রত্যেক সলাতের পর এ দু‘আ পাঠ করতে ভুল করো নাঃ ‘‘রব্বি আ‘ইন্নী ‘আলা- যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবা-দাতিকা।’’ (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার যিকর, শুকর ও উত্তমরূপে ‘ইবাদাত করতে সাহায্য কর)। (আহমাদ, আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)কিন্তু আবূ দাঊদ, ‘‘ক্ব-লা মু‘আ-যুন ওয়া আনা- উহিব্বুকা’’ বাক্য বর্ণনা করেননি।

    📚হাদিসের মানঃ সহিহ

    (4) رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَّبِالْإِسْلاَمِ دِيْنًا وَّبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا-

    ৪. রাযীতু বিললা-হে রববাঁও ওয়া বিল ইসলা-মে দীনাঁও ওয়া বিমুহাম্মাদিন্ নাবিইয়া।

    অর্থ: আমি সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম আল্লাহর উপরে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামের উপরে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদের উপরে নবী হিসাবে’।
    রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন,
    যে ব্যক্তি এই দো‘আ পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে’।[📚আবুদাঊদ হা/১৫২৯, ‘ছালাত’ অধ্যায়-২, ‘ক্ষমা প্রার্থনা’ অনুচ্ছেদ-৩৬১ ]

    (5) اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ الْبُخْلِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ أَرْذَلِ الْعُمُرِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَ عَذَابِ الْقَبْرِ-

    ৫. আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল জুব্নে ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনাল বুখ্লে ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন আরযালিল ‘উমুরে; ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন্ ফিৎনাতিদ দুন্ইয়া ওয়া ‘আযা-বিল ক্বাবরে।

    অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! (১) আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি ভীরুতা হ’তে (২) আশ্রয় প্রার্থনা করছি কৃপণতা হ’তে (৩) আশ্রয় প্রার্থনা করছি নিকৃষ্টতম বয়স হ’তে এবং (৪) আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুনিয়ার ফিৎনা হ’তে ও (৫) কবরের আযাব হ’তে’।[📚বুখারী, 📚মিশকাত হা/৯৬৪। সহিহ ]

    (6) اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ –

    ৬. আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল হাম্মে ওয়াল হাযানে ওয়াল ‘আজঝে ওয়াল কাসালে ওয়াল জুবনে ওয়াল বুখলে ওয়া যালা‘ইদ দায়নে ওয়া গালাবাতির রিজা-লে।

    অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ-বেদনা হ’তে, অক্ষমতা ও অলসতা হ’তে, ভীরুতা ও কৃপণতা হ’তে এবং ঋণের বোঝা ও মানুষের যবরদস্তি হ’তে’।[ মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, 📚মিশকাত হা/২৪৫৮(সহিহ) ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘আশ্রয় প্রার্থনা’ অনুচ্ছেদ-৮।]

    (7) سُبْحَانَ اللهِ وَ بِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَ رِضَا نَفْسِهِ وَ زِنَةَ عَرْشِهِ وَ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ-

    ৭. সুবহা-নাল্লা-হে ওয়া বেহাম্দিহী ‘আদাদা খাল্ক্বিহী ওয়া রিযা নাফ্সিহী ওয়া ঝিনাতা ‘আরশিহী ওয়া মিদা-দা কালেমা-তিহ (৩ বার)।

    অর্থ : মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য। তাঁর সৃষ্টিকুলের সংখ্যার সমপরিমাণ, তাঁর সত্তার সন্তুষ্টির সমপরিমাণ এবং তাঁর আরশের ওযন ও মহিমাময় বাক্য সমূহের ব্যাপ্তি সমপরিমাণ।[ মুসলিম, 📚মিশকাত হা/২৩০১ (সহিহ) ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়, ‘তাসবীহ ও হামদ পাঠের ছওয়াব’ অনুচ্ছেদ-৩; 📚আবুদাঊদ হা/১৫০৩।]

    (8) يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِيْنِكَ، اَللَّهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ-

    ৮. ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলূবে ছাবিবত ক্বালবী ‘আলা দ্বীনিকা, আল্লা-হুম্মা মুছারিরফাল কবুলূবে ছাররিফ ক্বুলূবানা ‘আলা ত্বোয়া-‘আতিকা।

    অর্থ : হে হৃদয় সমূহের পরিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর দৃঢ় রাখো’। ‘হে অন্তর সমূহের রূপান্তরকারী! আমাদের অন্তর সমূহকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও’।[তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, 📚মিশকাত হা/১০২ ‘ঈমান’ অধ্যায়-১, ‘তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস’ অনুচ্ছেদ-৩;📚 মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯। ]

    (9) اَللَّهُمَّ أَدْخِلْنِىْ الْجَنَّةَ وَ أَجِرْنِىْ مِنَ النَّارِ-

    ৯. আল্লা-হুম্মা আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া আজিরনী মিনান্ না-র (৩ বার)।

    অর্থ : হে আল্লাহ তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে পানাহ দাও! [ 📚তিরমিযী, নাসাঈ, 📚মিশকাত হা/২৪৭৮ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘আশ্রয় প্রার্থনা’ অনুচ্ছেদ-৮।]

    (10) اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى-

    ১০. আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা ওয়াত তুক্বা ওয়াল ‘আফা-ফা ওয়াল গিণা।

    অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে সুপথের নির্দেশনা, পরহেযগারিতা, পবিত্রতা ও সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।[📚মুসলিম, 📚মিশকাত হা/২৪৮৪ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘সারগর্ভ দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-৯। ]

    (11) سُبْحَانَ اللهِ، اَلْحَمْدُ ِللهِ، اَللهُ أَكْبَرُ، لآ إلهَ إلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ-

    ১১. সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার)। আলহাম্দুলিল্লা-হ (৩৩ বার)। আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার)। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লে শাইয়িন ক্বাদীর (১ বার)। অথবা আল্লা-হু আকবার (৩৪ বার)।

    অর্থ : পবিত্রতাময় আল্লাহ। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন উপাস্য একক আল্লাহ ব্যতীত; তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব ও তাঁরই জন্য যাবতীয় প্রশংসা। তিনি সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী।[ মুসলিম,📚 মিশকাত হা/৯৬৬, ৯৬৭, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘ছালাত পরবর্তী যিকর’ অনুচ্ছেদ-১৮।
    ]
    গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
    অধ্যায়ঃ পর্ব-৪ঃ সলাত (كتاب الصلاة)
    হাদিস নম্বরঃ ৯৬৬

    ৯৬৬-[৮] কা‘ব ইবনু ‘উজরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রতি ফরয সলাতের পর পাঠ করার মতো কিছু কালিমাহ্ আছে যেগুলো পাঠকারী বা ‘আমালকারী বঞ্চিত হয় না। সে কালিমাগুলো হলোঃ ‘সুবহা-নাল্ল-হ’ তেত্রিশবার, ‘আলহামদু লিল্লাহ’ তেত্রিশবার ও ‘আল্ল-হু আকবার’ চৌত্রিশবার করে পড়া।
    সহীহ : মুসলিম ৫৯৬।
    হাদিসের মানঃ সহিহ

    🌱✍গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
    অধ্যায়ঃ পর্ব-৪ঃ সলাত (كتاب الصلاة)
    হাদিস নম্বরঃ ৯৬৭

    আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে লোক প্রত্যেক সলাতের শেষে ‘সুবহা-নাল্ল-হ’ তেত্রিশবার, ‘আলহামদু লিল্লা-হ’ তেত্রিশবার এবং ‘আল্ল-হু আকবার’ তেত্রিশবার পড়বে, যার মোট সংখ্যা হবে নিরানব্বই বার, একশত পূর্ণ করার জন্যে একবার ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর’’ (অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার কোন উপাস্য নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। সমগ্র রাজত্ব একমাত্র তাঁরই ও সকল প্রকারের প্রশংসা তাঁরই জন্য এবং তিনি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান।) পাঠ করবে, তাহলে তার সব পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে, যদি তা সাগরের ফেনারাশির সমানও হয়।
    📚মুসলিম ৫৯৭ সহিহ ।
    হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

    🌱✍গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
    অধ্যায়ঃ পর্ব-১০. আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)
    হাদিস নম্বরঃ ২৩৮৭

    রাসূলুল্লাহ (সা:) প্রত্যেক ছালাতের শেষে সূরা ‘ফালাক্ব’ ও ‘নাস’ পড়ার নির্দেশ দিতেন।[ 📚আহমাদ, আবুদাঊদ, নাসাঈ, 📚মিশকাত হা/৯৬৯, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘ছালাত পরবর্তী যিকর’ অনুচ্ছেদ-১৮।
    ]
    🌱✍ রাসুল (সা:) প্রতি রাতে শুতে যাওয়ার সময় সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব ও নাস পড়ে দু’হাতে ফুঁক দিয়ে মাথা ও চেহারাসহ সাধ্যপক্ষে সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। তিনি এটি তিনবার করতেন। [📚মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২১৩২ ‘কুরআনের ফাযায়েল’ অধ্যায়-৮ 

    01
    Uploading . . . 
    02
    Uploading . . . 
    Daily Talks 03 VDO

    [embedyt] https://www.youtube.com/embed?listType=playlist&list=

    &layout=gallery[/embedyt]

    Daily Talks 04

    Updating every day … 

    Daily Talks 05

    Updating every day … 

    Daily Talks 06

    Updating every day … 

    • See Next >>
    • Spoken English
    • FREE Courses


    Facebook


    Twitter


    Facebook


    Youtube


    Wordpress

    Welcome

    free education programme

    eSchoolbd.com provides FREE educational contents to the students of all stages

    Join UsYouTube

  • Daily Islamic Dua

    Daily Islamic Dua

    eSchoolbd.com
    Daily Talks 01

    Daily Islamic Dua, eSchoolbd.com, Islamic School, learn daily Dua,

    Daily Talks 02
    Daily Talks VDO

    [embedyt] https://www.youtube.com/embed?listType=playlist&list=

    &layout=gallery[/embedyt]

    • Kid’s Guide
    • Spoken English
    • FREE Courses


    Facebook


    Twitter


    Facebook


    Youtube


    Wordpress

    Welcome

    free education programme

    eSchoolbd.com provides FREE educational contents to the students of all stages

    Join UsYouTube

  • Kings did nothing . ভেবেছেন কখনো ??? we are living better than a King

    Kings did nothing . ভেবেছেন কখনো ??? we are living better than a King

    ১.
    নিজের সম্পদ নিয়ে প্রচন্ড অহংকারী কারুণ যদি আমাদের পকেটে থাকা এটিএম কার্ডের কথা জানতেন, তবে তার ধনভাণ্ডারের চাবি বহনকারী চাকরের বহর নিয়ে দম্ভ করতেন না!
    ২.
    পারস্য সম্রাট কিসরা যদি আমাদের বাসার ড্রয়িং রুমের বিলাসী সোফায় বসার সুযোগ পেতেন, তবে আর নিজের সিংহাসনের চেয়ার নিয়ে গর্ব করতেন না!
    ৩.
    রোম সম্রাট কায়সার যদি আমাদের এয়ারকন্ডিশন দেখতেন, তবে মাথার উপর উটপাখির পালক দিয়ে কৃতদাসদের করা বাতাসকে আয়েশ ভাবতেও লজ্জা পেতেন!
    ৩.
    পাইক-পেয়াদাদের লোভাতুর দৃষ্টি উপক্ষা করে হেরাক্লিয়াস গ্রীষ্মকালে মাটির হাড়ি কাত করে আয়েশী ভঙ্গিতে ঠান্ডা পানি পান করতেন। আজ আমাদের সহজলভ্য ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পানের স্বাভাবিক দৃশ্য দেখলে হয়তো নিজেকে সম্রাটই ভাবতেন না‍!
    ৪.
    শাহী ভঙ্গিমায় ঘোড়ার চড়া হালাকু খানের সামনে দিয়ে যদি আপনি চকচকা মার্সিটিজ, পারাডো, করোলা গাড়ি কিংবা ইসুজু বাইক হাঁকিয়ে যেতেন, তবে তিনি নিজের বাহন নিয়ে গর্ব করতে লজ্জাবোধ করতেন হয়তো!

    রাজা-মহারাজারাও মাসের পর মাস পায়ে হেঁটে কিংবা ক্লান্ত উট বা ঘোড়ায় চড়ে হজ্জে যেতেন। আর আমরা কয়েক ঘন্টায় বিলাসবহুল বাহনে উড়াল দিয়ে হাজার হাজার মাইল মাড়িয়ে এসে হাজ্জ করি!

    রাজা-বাদশারাও যে সুখভোগের সুযোগ পায়নি, বরং স্বপ্নেও কল্পনা করে নি, তা আমরা সহজেই উপভোগ করছি প্রতিনিয়ত!

    মহান রব অগণিত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ডুবিয়ে রেখেছেন আমাদের।আপনি চোখ দুটো যতো বেশি মেলবেন ততো বেশি মাথাটা নিচু হয়ে আসবে…
    এরপরও আমরা অনেকে ভাগ্য নিয়ে বিলাপ করি!

    ‘হে প্রতিপালক, তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার সেই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, যা তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দান করেছ..’। (সুরা নামাল আয়াত ১৯)
    সংগৃহীত ও পরিমার্জিত
    কৃতজ্ঞতা য় শায়েখ আহমাদ উল্লাহ