Category: eMadrasah

  • How to Oju-Wadu

    How to Oju-Wadu

    আপনারা সবাই অযুর দোয়া, নিয়ত ও নিয়ম জানতে চাচ্ছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে অযুর দোয়া ও নিয়ত ও নিয়ম দেওয়া আছে। আপনারা সেটা নিচে গিয়ে দেখে নিতে পারবেন। আর ওযুর নিয়ত নিয়ম এবং দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন। তো চলুন নিচে গিয়ে দেখে নেয়া যাক আপনারা কিভাবে ওযুর নিয়ম পালন করবেন। ওযুর নিয়ত করবেন এবং ওযুর জন্য যে দোয়া করতে হয় সেটি করবেন। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানা সকলেরই জরুরী।

    অযুর দোয়া ও নিয়ত নিয়ম

    একজন মুসলিম খুব নিষ্ঠার সঙ্গে নামাজ আদায় করলেন। কিন্তু তার ওযুর জন্য তিনি দোয়া করেন নি এবং অজুর জন্য যে নিয়ম সেটাও তিনি মানেননি। সে ক্ষেত্রে তার নামাজ সহিহ ভাবে আদায় হবে না। নামাজের আদায়ের মূলকথা হলো সুন্দরভাবে এবং নিয়ম অনুসারে ওযু করতে হবে।

    তাই আপনারা যারা ওযুর নিয়ম ব যারা জানেন না তারা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। আর আপনাদের প্রতিদিনের জন্য আল্লাহর প্রতি যে ইবাদত-বন্দেগী করবেন। সেটার জন্য এটি খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

    ওযু কি

    অজু হল নামাজের আগে বা কোন পবিত্র কাজের আগে শরীর এবং মনের পরিশুদ্ধতা গ্রহণ করা। ওযুর ফরজ চারটি। এই চারটি ফরজ মেনে যদি আপনি ওজু করতে পারেন তাহলে আপনার সকল কাজে বরকত আসবে। ওযু করার মধ্য দিয়ে শরীর এবং মনের পবিত্রতা অর্জন করা যায়।

    মন ফুরফুরে থাকে মনে। প্রশান্তি আসে এবং যে কাজ করা যায় সেই কাজে সফলতা অর্জন করা যায়। তাই নামাজ পড়া, কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা এবং অন্য কোন পবিত্র কাজে আপনারা অজু করুন।

    ওযু করার সঠিক নিয়ম

    ওযু করার সঠিক নিয়ম যদি আপনারা জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি ভাল করে পড়ুন। আপনি যদি সহীহভাবে এবং সঠিকভাবে ওযু করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে ওযুর নিয়ত করতে হবে। এজন্য আপনি প্রথমে বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করলেন। উভয় হাতের কব্জিসহ আপনাকে তিনবার ধৌত করতে হবে। তারপরে আপনি যদি উভয় হাতের আঙ্গুলগুলো খিলাল করেন তাহলে খুবই ভালো।

    এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মেসওয়াক করার কথা বলেছেন। আর ওযুর সময় তিনবার মেসওয়াক করা সুন্নত। এই মেসওয়াক করে নেওয়ার পর আপনি তিনবার কুলি করে নেবেন। একইভাবে তিনবার নাকে পানি দিয়ে দিবেন। এরপর সমস্ত মুখ আপনি তিনবার ধোবেন।

    মুখমন্ডল যেন ধৌত হয় পুরোপুরিভাবে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ডান হাত এবং বাম হাতের কনুইসহ আপনারা আবার তিনবার করে ধৌত করবেন। তারপরে সমস্ত মাথা একবার মাসাহ করতে হবে। কান মাসাহ করবেন। তার সাথে সাথে সবগুলো সম্পূর্ণ হয়ে গেল। আপনারা ডান পায়ের টাখনুসহ এবং বাম পায়ের টাখনুসহ তিনবার ধৌত করবেন। দুই পায়ের আংগুলের মধ্যখানে খিলাল করবেন। এভাবে আপনি আপনার ওযু সম্পন্ন করতে পারবেন।

    ওযু করার দোয়া

    অজু করতে হলে আপনাকে দোয়া করতে হবে। কারণ ওযুর যদি আপনি দোয়া পড়েন তাহলে এটি খুবই উত্তম। আর এই দোয়া পড়তে পারলে আপনি অনেক সওয়াবের অধিকারী হবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা ওযুর দোয়া দেখে নিন। যখন অযু করবেন তখন এই দোয়াগুলো পাঠ করবেন। শেষে আকাশের দিকে তাকিয়েও দোয়া করা যায়। আপনারা সেই দোয়াগুলো করতে পারেন।

    ওযু করার নিয়ত

    ওযু যেহেতু মনের পরিশুদ্ধি এবং আত্মার পরিশুদ্ধি, তাই আপনাকে ওযু করার জন্য মনে মনে নিয়ত করতে হবে। সে নিয়ত হতে হবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ আপনি একটা ভালো কাজের জন্য অজু করছেন।

    সেই কাজটি যেন সুন্দরভাবে এবং সফলভাবে সম্পন্ন হয় সেই নিয়াতে মনে মনে করবেন। এতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে। তাই আপনারা ওযু করার সময় ওযুর নিয়ত মনে মনে করে ফেলুন।

    কিভাবে অজু করতে হয়?

    কিভাবে অজু করতে হয়? তার মানে আপনি একেবারে জানেন না ওযু কিভাবে করতে হয়। তার জন্য জেনে নিন যে এভাবে অজু করতে হয়। ওযু করার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন আছে। যেগুলো আপনাকে মানতে হবে। আর ওযু করতে হবে। আপনাকে পানির মাধ্যমে।

    তাই প্রথমে আপনাকে আগে পবিত্র জায়গায় পরিষ্কার পানি সংগ্রহ করতে হবে। পানি সংগ্রহ করার পর আপনারা উল্লেখিত নিয়ম অনুসারে অজু করতে পারবেন। সেজন্য আপনাদের দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধরতে হবে। কুলি করতে হবে। নাকের ভিতরে পানি পৌঁছাতে হবে।

    ওযু করার নিয়মাবলী ও দোয়া

    ওযুত মানেই নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ। তাই আপনাদের ওযুর নিয়মাবলি জানতে হবে। তার সাথে আপনাদের ওযুর দোয়া ও করতে হবে। যদি আপনারা ওদের সঙ্গে নিয়মাবলী জানেন এবং সে অনুযায়ী দোয়া করেন। তাহলে আপনাদের অজু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।

    ওযু করার নিয়মগুলিতে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “যে ব্যক্তি পূর্ণ ভাবে ওযু করা শেষে কালেমা শাহাদাত পাঠ করবে, তার জন্য বেহেশতে আটটি দরজা খুলে যাবে। সে যে দরজায় ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।” তাহলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ওযু করার নিয়মাবলী ও দোয়া জেনে নিন।

    ওযু করার পদ্ধতি

    নামাজ বা কোন প্রকৃত কাজ অর্জনের জন্য অজু করা বাধ্যতামূলক। তাই আপনারা ওযুর পদ্ধতি আমাদের ওয়েবসাইটের উপরে দেওয়া তথ্য অনুসারে মেনে চলুন। উপরে উল্লিখিত নিয়ম অনুসারে আপনার ওযু করার পদ্ধতি জেনে নিন। অযথা একটিব নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই এটিকে সহীহ শুদ্ধভাবে করা প্রতিটি মুসলিমের উচিত।

    ওযু করার পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনারা যোগাযোগ করেন। তারপরে কালেমা শাহাদাত পাঠ করেন। তাহলে আপনাদের জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা হয়ে যাবে।

    যেহেতু অজু একটি নামাজের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত সেহেতু এটি ফজিলত এর দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটাকে মেনে চলুন। আর যথাযথভাবে এবং সহিহভাবে সুন্দর ভাবে ওযু করে নিন।

    আমার নিজের সুখের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা রাব্বুল আলামিনের কাছে সপে দিন। বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত করা হবে। আপনারা এই নিয়মিত ইসলামিক পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট

    #Ojur_Niyam #Wadu

  • How to perform Umrah Hajj

    How to perform Umrah Hajj

    eSchoolbd.com

    How to perform Umrah Hajj

    ওমরা পালনের ধারাবাহিক নিয়ম ও দোয়া

    ওমরা পালনের ধারাবাহিক নিয়ম ও দোয়া

    সারাবিশ্ব থেকে লাব্বাইক ধ্বনিতে পবিত্র নগরী মক্কার দিকে যাচ্ছে মুমিন মুসলমান নর-নারী। যাদের অনেকেই মক্কা গিয়েই আদায় করবেন ওমরা। হজের আগে নারী-পুরুষের ওমরা পালনের ধারাবাহিক নিয়মগুলো যেমন জেনে নেয়া জরুরি। তেমনি ওমরার রোকনগুলোতে পড়া দোয়া গুলোও জেনে নেয়া জরুরি।

    ওমরা আদায়ে নারী-পুরুষের জন্য রয়েছে নির্ধারিত ৪টি কাজ ও গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। ৪টি কাজ সম্পাদনে নারী পুরুষের জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। যা তুলে ধরা হলো-

    >> ইহরাম বাধা।

    >> কাবা শরিফ (৭ চক্করে) তাওয়াফ করা।

    >> সাফা-মারওয়া মধ্যবর্তী (সবুজ বাতি) স্থানে ৭ (সাত) বার সাঈ করা।

    >> হলক করা। পুরুষরা পুরো মাথার চুল ছোট করবে বা মুণ্ডন করবে আর নারীরা চুলে আগা কর্তন করার মাধ্যমে হালাল হয়ে যাবে।

    (ক) ইহরাম পরিধান

    ইহরাম শব্দের আভিধানিক অর্থ হল হারাম বা নিষিদ্ধ। ইসলামের ভাষায় ইহরাম অর্থ নির্দিষ্ট কিছু পোশাক পরিধান করার মাধ্যমে নিয়ত ও তালবিয়া সহকারে আপাত দৃষ্টিতে কিছু হালাল কাজকেও নিষিদ্ধ বলে মেনে নিয়ে হজ্জ বা উমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করা। পুরুষরা ইহরামের জন্য প্রস্তুত কৃত সাদা দুটি চাদর ও মহিলারা তাদের সাধারণ পোষাক পড়ার মাধ্যমে ইহরাম বাধবেন।

    ইহরাম পরিধান হজ্জ এবং উমরাহের প্রথম শর্ত

    ইহরাম বাধার পূর্বে বেশ কিছু অবশ্যকরণীয় কাজ আছে। এগুলো হলঃ

    ১। ইহরাম বাধার আগে সব ধরনের শারীরিক পরিচ্ছন্নতা অর্জন করতে হবে। যেমন হাত পায়ের নখ কাটা, গোফ, চুল ও নাভীর নীচের লোম পরিষ্কার করা ইত্যাদি।

    ২। ইহরাম বাধার আগে গোসল করা সুন্নত।

    ৩। এর পর পুরুষদের সেলাইবিহীন পোশাক ও মহিলাদের যেকোন উপযুক্ত পোশাক পরিধানের মাধ্যমে ইহরাম বাধতে হবে।

    ৩। গোসলের পর ওযু করে ২ রাকাত নফল নামায পড়তে হবে।

    ৪। মিকাত বা তার পূর্বে উমরাহের নিয়ত করতে হবে।

    ৫। এর পর তালবিয়া পড়তে হবেঃ

    লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক, লাব্বাঈক, লা-শারীকা-লাকা লাব্বাঈক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা ওয়াল-মুল্ক, লা শারীকালাক।”

    অর্থ: আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোন অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার। আপনার কোন অংশীদার নেই।

    পুরুষদের উচ্চ স্বরে এবং নারীদের অনুচ্চ স্বরে তালবিয়া পড়তে হবে।

    ইহরাম বাঁধার পর নিষিদ্ধ কাজ সমুহ

    ইহরাম বাধার পর কিছু কাজ আছে যেগুলো নিষিদ্ধ। আপাত দৃষ্টিতে অনেক হালাল কাজও নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। এগুলো হলঃ

    ১) সেলাইযুক্ত যে কোন কাপড় বা জুতা ব্যবহার, এক্ষেত্রে স্পঞ্জ সেন্ডেলের ব্যবহার করতে হবে।

    (২) মস্তক ও মুখমন্ডল (ইহরামের কাপড়সহ যে কোন কাপড় দ্বারা) ঢাকা।

    (৩) পায়ের পিঠ ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।

    (৪) চুলকাটা বা ছিড়ে ফেলা।

    (৫) নখকাটা।

    (৬) ঘ্রানযুক্ত তৈল বা আতর লাগানো।

    (৭) স্ত্রীর সঙ্গে সংগম করা।

    (৮) যৌন উত্তেজনামূলক কোন আচরণ বা কোন কথা বলা।

    (৯) শিকার করা।

    (১০) ঝগড়া বিবাদ বা যুদ্ধ করা।

    (১১) চুল দাড়িতে চিরুনী বা আঙ্গুলী চালনা করা, যাতে ছিড়ার আশংকা থাকে।

    (১২) শরীরে সাবান লাগানো।

    (১৩) উকুন, ছারপোকা, মশা ও মাছিসহ কোন জীবজন্তু হত্যা করা বা মারা।

    (১৪) যে কোন ধরণের গুনাহের কাজ করা।

    নারী-পুরুষের ওমরার ধারাবাহিক বিস্তারিত নিয়ম ও দোয়া

    প্রথম কাজ : ইহরাম বাঁধা (ফরজ)

    নির্ধারিত মিকাত থেকে (সম্ভব হলে) গোসল করে অথবা অজু করে নেয়া। পুরুষরা সেলাইবিহীন ২টি কাপড় পরবে। আর নারীরা পর্দাসহ শালীন পোশাক পরবে। অতঃপর ২ রাকাআত নামাজ পড়ে ইহরামের নিয়ত করে নেবে-

    اَللَّهُمَّ اِنِّي اُرِيْدُ العُمْرَةَ فَيَسِّرْهُ لِيْ وَ تَقَبَّلْهُ مِنِّي

    উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল উমরাতা ফাইয়াসসিরহু লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি’

    অর্থ : হে আল্লাহ! আমি ওমরার ইচ্ছা করছি; আপনি আমার জন্য তা সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন।’

    অতঃপর তালবিয়া পড়বে (১ বার তালবিয়া পড়া শর্ত)

    لَبَّيْكَ اَللّهُمَّ لَبَّيْكَ – لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ – اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ – لاَ شَرِيْكَ لَكَ

    উচ্চারণ : ‘লাব্বাইকা আল্লা-হুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্‌নিমাতা লাকা ওয়ালমুল্‌ক, লা শারিকা লাক।’

    তালবিয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ দোয়াটিও পড়বে-

    اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ رِضَاكَ وَ الْجَنَّةَ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ غَضَبِكَ وَ النَّارِ

    উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিদাকা ওয়াল জান্নাতা ওয়া আউ’জুবিকা মিন গাদাবিকা ওয়ান্নারি’

    অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টি ও জান্নাতের আশা করছি এবং আপনার অসুন্তুষ্টি ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।’

    বাংলাদেশ থেকে যারা প্রথমে মক্কায় যাবেন তারা বাসা কিংবা হজ ক্যাম্প থেকে ইহরামের কাজ সম্পন্ন করে নেবে।

    মসজিদে হারামে প্রবেশ

    ওমরা উদ্দেশ্যে মসজিদে হারামে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করে এ দোয়া পড়া-

    بِسْمِ اللهِ وَ الصّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ

    أعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْم وَ بِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَ سُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ

    اَللهُمَّ افْتَحْ لِىْ اَبْوَابَ رَحَمَتِكَ

    উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ। আউজুবিল্লাহিল আজিম ওয়া বি-ওয়াজহিহিল কারিম ওয়া সুলতানিহিল কাদিমি মিনাশশায়ত্বানির রাজিম। আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা।

    কাবা ঘর দেখে এ দোয়া পড়া-

    اَللَّهُمَّ أَنْتَ السّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ حَيِّنَا رَبَّنَا بِالسَّلَامِ اَللَّهُمَّ زِدْ هَذَا الْبَيْتَ تَشْرِيْفاً وَ تَعْظِيْماً وَ تَكْرِيْماً وَ مَهَاَبَةً وَ زِدْ مَنْ شَرّفَهُ وَ كَرّمَهُ مِمَّنْ حَجَّهُ وَاعْتَمَرَهُ تَشْرِيْفاً وَ تَعْظِيْماً وَ بِرُّا

    উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালামু হাইয়্যিনা রাব্বানা বিস্‌সালাম। আল্লাহুম্মা যিদ হাজাল বাইতা তাশরিফান ওয়া তা’জিমান ওয়া তাকরিমান ওয়া মুহাবাতান; ওয়া জিদ মান শার্‌রাফাহু ওয়া কার্‌রামাহু মিম্মান হাজ্জাহু ওয়া’তামারাহু তাশরিফান ওয়া তাকরিমান ওয়া তা’জিমান ওয়া বির্‌রা।

    দ্বিতীয় কাজ : তাওয়াফ করা (ফরজ)

    ওমরার দ্বিতীয় ফরজ কাজ হলো কাবা শরিফ তাওয়াফ করা। হাজরে আসওয়াদ চুম্বন, ইসতেলাম (স্পর্শ) বা হাজরে আসওয়াদ বরাবর কোনায় দাঁড়িয়ে কাবার দিকে ফিরে দুই হাত দিয়ে ইশারা করে পুরুষরা ইজতিবা ও রমলসহ আর নারীরা সাধারণভাবে তাওয়াফ শুরু করবে আর এ দোয়া পড়া-

    بِسْمِ اللهِ اَللهُ اَكْبَر – اَللَّهُمَّ اِيْمَنًا بِكَ و بصديقًا بِكِتَابِكَ وَرَفَعًا بِعَهْدِكَ وَ اِتِّبَعًا لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ

    উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার; আল্লাহুম্মা ইমানান বিকা ওয়া তাসদিকান বিকিতাবিকা ওয়া রাফাআন বিআহদিকা ওয়া ইত্তিবাআন লিসুন্নাতি নাবিয়্যিকা।’

    তাওয়াফের সময় কাবা শরিফ ও হাজরে আসওয়াদকে বাম দিকে রেখে রোকনে শামি ও রোকনে ইরাকি অতিক্রম করে রোকনে ইয়ামেনিতে আসবে। এ স্থানে তালবিয়া, তাকবির তাসবিহ ইত্যাদি পড়বে।

    অতঃপর (সম্ভব হলে) রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শ করবে। সম্ভব না হলে দূর থেকে ইশারা করে হাজরে আসওয়াদের দিকে অগ্রসর হবে এবং কুরআনে শেখানো এ দোয়া পড়বে-

    رَبَّنَا اَتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّ فِى الْاَخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

    উচ্চারণ : রাব্বানা আতিনা ফিদদুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াক্বিনা আজাবান্ নার।’

    হাজরে আসওয়াদ পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে এক চক্কর সম্পন্ন হবে। এভাবে সাত চক্কর দেয়ার মাধ্যমে পুরো এক (ফরজ) তাওয়াফ সম্পন্ন হবে।

    ইজতিবা ও রমল

    ফরজ তাওয়াফের জন্য পুরুষরা ইজতিবা ও রমল করবে। এটি নারীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। আর তাহলো-

    – ইজতিবা

    পুরুষরা গায়ের চাদরটিকে মুঠিবদ্ধ করে বাম কাধের ওপর দিয়ে পিঠ ঘুরিয়ে ডান বগলের নিচ দিয়ে এনে বুকের ওপর থেকে বাম কাঁধের ওপর দিয়ে পেছনে ফেলা। এভাবে বাহাদুরি সুলভ আচরণ প্রকাশে গায়ের চাদর পরাই হলো ইজতেবা। আর এটা করা সুন্নাত।

    – রমল

    ফরজ তাওয়াফের প্রথম ৩ চক্করে রমল করাও সুন্নাত। দুই হাত শরীর ও কাঁধ হেলিয়ে দুলিয়ে দ্রুত গতিতে প্রথম ৩ চক্কর সম্পন্ন করা। এভাবে তাওয়াফ করাকে রমল বলে।

    তাওয়াফে রমল ও ইজতিবা পুরুষের জন্য পালন করা সুন্নাত। এটা নারীদের জন্য নয়।

    মাকামে ইবরাহিমে নামাজ

    তাওয়াফ শেষে সম্ভব হলে মাকামে ইবরাহিমে কিংবা মাকামে ইবরাহিমের ওই দিকটায় ২ রাকাআত নামাজ আদায় করা। নারীদের নামাজের জন্য ওই দিকটায় নির্ধারিত স্থানও রয়েছে।

    অতঃপর ঝমঝমের পানি পান

    মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করে ঝমঝমের পানি পান করে নেয়া। মাতআফের চর্তুদিকে ঝমঝমের পানির ঝার/ড্রাম রয়েছে। যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ঝমঝমের গরম পানির ব্যবস্থাও রয়েছে।

    তৃতীয় কাজ : সাফা-মারওয়ায় সাঈ করা (ওয়াজিব)

    ঝমঝমের পানি পান করে ধীরে ধীরে সাফা পাহাড়ে আরোহন করা। সাফা ও মারওয়া পাহাড় দুটি কাবা শরিফের পাশেই অবস্থিত। ‘আবদাউ বিমা বাদাআল্লাহু বিহি ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শাআইরিল্লাহি’ বলে এ পাহাড় দুটি মাঝে ৭ বার আসা-যাওয়া করাকে সাঈ বলা হয়।

    সাঈতে করণীয়-

    কাবা শরিফ তাওয়াফের পর মাকাকে ইবরাহিমে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করে মসজিদে হারামের বাবুস সাফা দিয়ে সাফা পাহাড়ে আরোহন করা। সাফা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে এ আয়াত পাঠ করা-

    إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَا وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ

    উচ্চারণ : ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিং শাআয়িরিল্লাহি ফামান হাজ্জাল বাইতা আয়ি’তামারা ফালা ঝুনাহা আলাইহি আঁইয়্যাতত্বাওয়াফা বিহিমা ওয়া মাং তাত্বাওওয়াআ খাইরান ফাইন্নাল্লাহা শাকেরুন আলিম।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৫৮)

    এ আয়াতটি সাফা পাহাড়ের ওপরে গম্বুজের মধ্যে লেখা রয়েছে। চাইলে যে কেউ তা দেখে দেখেও পড়ে নিতে পারবেন।

    – সাফা পাহাড় থেকে কাবা শরিফ দেখা যায়। কাবার দিকে ফিরে আলহামদুলিল্লাহি আল্লাহু আকবার (اَلْحَمْدُ لِلَّهِ اَللهُ اَكْبَر) বলে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।

    – অতঃপর এ দোয়াটি ৩ বার পড়ে সাফা পাহাড় থেকে মারওয়ার দিকে চলা শুরু করা-

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر – لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ – لَهُ المُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ يُحْيِى وَ يُمِيْتُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيئ قَدِيْر

    لَا اِلَهَ اِلَّا الله وَحْدَهُ أنْجَزَ وَعْدَهُ – وَ نَصَرَ عَبْدَهُ وَ هَزَمَ الأحْزَابَ وَحْدَهُ

    উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হাম্দু ইউহয়ি ওয়া ইউমিতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু আনজাযা ওয়াহদাহু ওয়া নাসারা আবদাহু হাযাামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।’

    সবুজ চিহ্নিত স্থান

    সাফা পাহাড় থেকে চলা শুরু করতেই পড়বে ‘সবুজ চিহ্নিত স্থান’। এ স্থানটিকে লাইট দিয়ে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। পুরুষরা এ স্থানটি দৌড়ে অতিক্রম করবে আর নারীরা স্বাভাবিকভাবে হেটে হেটে অতিক্রম করবে।

    সবুজ চিহ্নিত স্থানে এ দোয়া পড়া-

    رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَ اَنْتَ الْاَعَزُّ الْاَكْرَمُ

    উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতাল আআযযুল আকরাম।’

    সবুজ চিহ্নিত স্থান অতিক্রম করে নারী-পুরুষ সবাই স্বাভাবিক গতিতে হাটবে। আর তাসবিহ পড়বে-

    اَللهُ اَكْبَر – اَللهُ اَكْبَر- اَللهُ اَكْبَر- وَ لِلَّهِ الْحَمْدُ

    اَللَّهُمَّ حَبِّبْ اِلَيْنَا الْاِيْمَانَ وَ كَرِّهْ اِلَيْنَا الْكُفْرَ وَالْفُسُوْقَ وَالْعِصْيَانَ وَاجْعَلْنَا مِنْ عِبَادِكَ الصَّالِحِيْنَ

    উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদু। আল্লাহুম্মা হাব্বিব ইলাইনাল ইমানা ওয়া কাররিহ ইলাইনাল কুফরা ওয়াল ফুসুক্বা ওয়াল ইসয়ানা ওয়াঝআলনা মিন ইবাদিকাস সালিহিন।’

    মারওয়া পাহাড়ে আরোহন

    সাফা থেকে গিয়ে মারওয়া পাহাড়ে ওঠা। সেখানে গিয়ে আবার সাফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া। সেখানে এ দোয়া পড়া-

    اَللهُ اَكْبَر – اَللهُ اَكْبَر- اَللهُ اَكْبَر- وَ لِلَّهِ الْحَمْدُ – لَا اِلَهَ اِلَّا الله وَحْدَهُ صَدَقَ وَعْدَهُ وَ نَصَرَ عَبْدَهُ وَ هَزَمَ الأحْزَابَ وَحْدَهُ – لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ

    وَ لَا نَعْبُدُ اِلَّا اِيَّاهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَفِرُوْنَ – رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَ اَنْتَ الْاَعَزُّ الْاَكْرَمُ

    إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ ۖ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَا ۚ وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ

    উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদু। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু সাদাক্বা ওয়াদাহু ওয়া নাসারা আবদাহু ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা নাবুদু ইল্লা ইয়্যাহু মুখলিসিনা লাহুদদ্বীন ওয়া লাও কারিহাল কাফিরুন। রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতাল আআযযুল আকরাম। ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিং শাআয়িরিল্লাহি ফামান হাজ্জাল বাইতা আয়ি’তামারা ফালা ঝুনাহা আলাইহি আঁইয়্যাতত্বাওয়াফা বিহিমা ওয়া মাং তাত্বাওওয়াআ খাইরান ফাইন্নাল্লাহা শাকেরুন আলিম।’

    সাফা পাহাড়ে আসার সময়ও সবুজ চিহ্নিত স্থানে আগের নিয়মে পুরুষরা দ্রুত আর নারীরা স্বাভাবিকভাবে হেটে হেটে আসবে পূর্বোল্লিখিত দোয়া পড়া-

    رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَ اَنْتَ الْاَعَزُّ الْاَكْرَمُ

    উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতাল আআযযুল আকরাম।’

    এভাবে আসা-যাওয়া মিলিয়ে ৭ বার চলাচলের মাধ্যমে সাঈ সম্পন্ন হবে। সাঈ শেষ হলে এ দোয়া পড়া-

    رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الَعَلِيْمُ – وَ تُبْ عَلَيْنَا اِنَّكَ اَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحَيْمُ –

    وَ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى خَيْرِ خَلْقِهِ مُحَمَّدٍ وَّاَلِهِ وَ اَصْحَابِهِ اَجْمَعِيْنَ وَارْحَمْنَا مَعَهُمْ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ

    উচ্চারণ : ‘রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাছ্ ছামিউল আলিম। ওয়অতুব্ আলাইনা ইন্নাকা আংতাত্ তাওয়্যাবুর্ রাহিম। ওয়া সাল্লাল্লাহু তাআলা আলা খাইরি খালক্বিহি মুহাম্মাদিউ ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাইন ওয়ারহামনা মাআহুম বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’

    ওমরার শেষ কাজ : মাথা মুণ্ডন করা (ওয়াজিব)

    সাফা এবং মারওয়া পাহাড়দ্বয় সাঈ করার পর মাথা মুণ্ডন করা অথবা মাথার চুল ছেটে ফেলা। আর নারীরা চুলের আগার দিকে কিছু অংশ কাটার মাধ্যমে ইহরাম থেকে বের হয়ে যাবে।

    উল্লেখ্য যে, যারা হজে ক্বিরান আদায় করবে তারা মাথা মুণ্ডন করবে না। আর যারা তামাত্তু হজ করবেন শুধু তারাই মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম থেকে হালাল হবে। আর ইফরাদ হজ আদায় কারীর জন্য তো ওমরা করার প্রয়োজন নেই।

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ নিয়মে ওমরা আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


    Click here


    Click here


    Click here


    Click here


    Facebook


    Twitter


    Facebook


    Youtube


    Wordpress

    Welcome

    free education programme

    eSchoolbd.com provides FREE educational contents to the students of all stages

    Join UsYouTube

  • Dua Kunut

    Dua Kunut

    দোয়া কুনুত – Dua Kunut :-  বাংলায় অনুবাদ ও অর্থসহ-
    দোয়া কুনুত বিতরের নামাযে পড়তে হয়ঃ

    اَللَّمُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

    উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্‌তায়ীনুকা, ওয়া নাস্‌তাগ্‌ফিরুকা, ওয়া নু’মিন বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর।

    ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুক

    আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস’আ

    ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা

    ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্‌ফারি মুলহিক।

    অনুবাদ: হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি, তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি । তোমার নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করিতেছি, তোমার উপর ঈমান আনিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি তোমার গুণগান করিতেছি এবং তোমারই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি । আমরা তোমাকে অস্বীকার করি না । যাহারা তোমার হুকুম অমান্য করে তাহাদের সঙ্গে আমরা সংশ্রব সংসগ্র পরিত্যাগ করি । হে আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমারই খেদমতে হাজির হই এবং তোমার রহমতের আশা করি ও তোমার শাস্তিকে ভয় করি । নিশ্চই তোমার আজাব অবিশ্বাসিগণ ভোগ করিবে |

    #DuaKunuth #DowaKunut