মহানবী (সা) এর ৩২৪ টি মহামূল্যবান বাণী
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সর্বশেষ নবী। দুনিয়াতে যারা তাঁর দেখানো পথে চলবে, পরকালে তারাই জান্নাতে যাবে। তারাই জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। আমরা তাঁর উম্মত বা অনুসারী দল। আমরা তাঁর দেখানো পথে চলি। সঠিক পথ পাবার জন্যে তিনি আমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে গেছেন। একটি হলো আল্লাহর কুরআন। আর অপরটি হলো তাঁর সুন্নত বা সুন্নাহ।
নবীর সুন্নাহ সম্পর্কে জানা যায় হাদীস থেকে।হাদীসের অনেকগুলো বড় বড় গ্রন্থ আছে। নবীর বাণীকে হাদীস বলে। নবীর কাজ কর্ম এবং চরিত্রের বর্ণনাকে ও হাদীস বলে।
নবীর সমর্থন এবং আদেশ নিষেধের বর্ণনাকেও হাদীস বলে। ইসলামের সত্য ও সঠিক পথকে জানাবার জন্যে আমাদেরকে আল্লাহর বাণী কুরআন মজীদকে বুঝতে হবে এবং মানতে হবে।
ঠিক তেমনি আমাদেরকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী হাদীস পড়তে হবে এবং সে অনুযায়ী চলতে হবে।
তবেই মহান আল্লাহ খুশী হবেন আমাদের প্রতি।আমরা হতে পারবো সত্যিকার মুসলিম।
সে জন্যেই আমরা এখানে সংকলন করেছি প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনেকগুলো হাদীস। এসো আমরা সবাই প্রিয় নবীর এই বাণীগুলো পড়ি এবং মেনে চলি।
আল্লাহ
(১)জান্নাতের চাবি হলো – ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই’ এ সাক্ষ্য দেয়া। (আহমদ)
শব্দার্থ : ‘ইলাহ’ মানে হুকুমকর্তা, আইনদাতা, আশ্রয়দাতা, ত্রাণকর্তা, উপাস্য, প্রার্থনা শ্রবণকারী।
(২)আল্লাহ সুন্দর! তিনি সৌন্দর্যকেই পছন্দ করেন। (সহীহ মুসলিম)
(৩) শ্রেষ্ঠ কথা চারটি :
ক) সুবহানাল্লাহ – আল্লাহ পবিত্র,
খ) আল হামদুলিল্লাহ – সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর,
গ) লা–ইলাহা ইল্লাল্লাহ – আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই,
ঘ) আল্লাহু আকবর – আল্লাহ মহান। (সহীহ মুসলিম)
আল্লাহর অধিকার
(৪) বান্দাহর উপর আল্লাহর অধিকার হলো, তারা কেবল তাঁরই আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং তাঁর সাথে কোনো অংশীদার বানাবেনা। (সহীহ বুখারী)
ঈমান
(৫) বলো : ‘আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি ; অতপর এ কথার উপর অটল থাকো। (সহীহ মুসলিম)
(৬) ঈমান না এনে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। (তারগীব)
(৭) যে কেউ এই ঘোষণা দেবে : ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই আর মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রসূল’ – আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্যে নিষিদ্ধ করে দেবেন।(সহীহ বুখারী
ঈমান থাকার লক্ষণ
(৮) তুমি মুমিন হবে তখন, যখন তোমার ভালো কাজ তোমাকে আনন্দ দেবে, আর মন্দ কাজ দেবে মনোকষ্ট। (আহমদ)
ইসলাম
(৯) সব কাজের আসল কাজ হলো ‘ইসলাম’। (আহমদ)
(১০) কোনো বান্দাহ ততোক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম হয়না, যতোক্ষণ তার মন ও যবান মুসলিম না হয়। (তাগরীব)
পবিত্রতা
(১১) পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। (সহীহ মুসলিম)
(১২ ) যে পূত পবিত্র থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে পূত পবিত্র রাখেন। (সহীহ বুখারী)
সালাত
(১৩) সালাত জান্নাতের চাবি। (আহমদ)
শব্দার্থ : সালাত – নামায। জান্নাত – বেহেশত।
( ১৪ ) সালাত হলো ‘নূর’। (সহীহ মুসলিম)
( ১৫) সালাত আমার চক্ষু শীতলকারী। (নাসায়ী)
(১৬) পবিত্রতা সালাতের চাবি। (আহমদ)
(১৭) সালাত মুমিনদের মি’রাজ। (মিশকাত)
শব্দার্থ : মি’রাজ মানে – উর্ধ্বে গমন করা বা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা।
(১৮) যে পরিশুদ্ধ হয়না, তার সালাত হয়না। (মিশকাত)
(১৯) সাত বছর বয়স হলেই তোমাদের সন্তানদের সালাত আদায় কতে আদেশ করো। (আবু দাউদ)
(২০) কিয়ামতের দিন পয়লা হিসাব নেয়া হবে সালাতের। (তাবরানি)
(২১ ) আল্লাহর অনুগত দাস আর কুফরীর মাঝে মিলন সেতু হলো সালাত ত্যাগ করা। (সহীহ মুসলিম)
(২২ ) যে ব্যক্তি লোক দেখানোর জন্যে সালাত পড়লো, সে শিরক করলো। (আহমদ)
সাওম
(২৩ ) সাওম একটি ঢাল। (মিশকাত)
শব্দার্থ : সাওম – রোজা।
(২৪)সাওম এবং কুরআন বান্দার জন্যে সুপারিশ করবে। (বায়হাকী)
(২৫) যখন রমযান শুরু হয়, তখন রহমতের দুয়ার খুলে দেয়া হয়। (সহীহ বুখারী)
(২৬) তোমাদের মাঝে বরকতময় রমযান মাস এসেছে। আল্লাহ তোমাদের উপর এ মাসের সিয়াম সাধনা ফরয করে দিয়েছেন। (নাসায়ী) হজ্জ ও উমরা
(২৭) হজ্জ ও উমরা পালনকারীরা আল্লার মেহমান। (মিশকাত)
আল্লাহর পথে জিহাদ
(২৮ ) আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম। (সহীহ বুখারী)
(২৯) যে লড়ে যায় আল্লাহর বাণীকে বিজয়ী করার জন্যে সেই আল্লাহর পথে ( জিহাদ করে )। (সহীহ বুখারী)
(৩০) অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলা সবচেয়ে বড় জিহাদ। (তিরমিযী)
জ্ঞানার্জন
(৩১) রাত্রে ঘন্টাখানেক জ্ঞান চর্চা করা সারা রাত জেগে ( ইবাদতে নিরত ) থাকার চেয়ে উত্তম। (দারমী)
(৩২) যে জ্ঞানের সন্ধানে বের হয়, সে আল্লাহর পথে বের হয়। (তিরমিযী)
(৩৩) আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল সে, যে কোনো বিষয়ে জ্ঞান লাভ করলো, অতপর তা ছড়িয়ে দিলো। (বায়হাকী)
আল কুরআন
(৩৪) সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব। (সহীহ মুসলিম)
(৩৫) কুরআনকে আঁকড়ে ধরো, তাহলে কখনো বিপথগামী হবেনা। (মিশকাত)
(৩৬) কুরআন পরিবারের লোকেরা আল্লাহর পরিবার এবং তাঁর বিশেষ লোক। (নাসায়ী)
(৩৭) তোমরা আল্লাহর কিতাবকে আঁকড়ে ধরো। এর হালালকে হালাল বলে গ্রহণ করো এবং এর হারামকে হারাম বলে বর্জন করো। (হাকিম)
(৩৮) যে আল্লাহর কিতাবের পথ ধরে সে দুনিয়াতে বিপথগামী হয়না এবং পরকালে হয়না দুর্ভাগা। (মিশকাত)
(৩৯) আমার উম্মতের সম্মানিত লোক হলো কুরআনের বাহক আর রাতের সাথীরা (বায়হাকী)
রসূল ও সুন্নাহ
(৪০) সর্বোত্তম জীবন পদ্ধতি হচ্ছে মুহাম্মদ সাঃ প্রদর্শিত পদ্ধতি। (সহীহ মুসলিম)
( ৪১) যে আমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো। (সহীহ বুখারী)
(৪২) যে আমাকে অমান্য করলো সে আল্লাহকে অমান্য করলো। (সহীহ বুখারী)
(৪৩) যে আমার সুন্নতকে ভালোবাসলো সে আমাকে ভালোবাসলো। (সহীহ মুসলিম)
(৪৪) যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হলো, সে আমার লোক নয়। (সহীহ মুসলিম)
(৪৫ ) আমি আল্লাহর কাছে শেষ নবী হিসেবে লিখিত আছি। (শরহে সুন্নাহ)
নিয়্যত
(৪৬) কাজ নির্ভর করে নিয়্যতের উপর।(সহীহ বুখারী)
নোট : নিয়্যত মানে -উদ্দেশ্য,সংকল্প,ইচ্ছা,কোনো নির্দিষ্ট কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া।‘কাজ নির্ভর করে নিয়্যতের উপর’ মানে কাজের পেছনে মানুষের যে উদ্দেশ্য, সংকল্প বা সিদ্ধান্ত থাকে, তার ভিত্তিতেই সে ফল ও পুরস্কার লাভ করবে।
(৪৭) প্রত্যেক ব্যক্তি তার কাজের সেই ফলই পাবে,যা সে নিয়্যত করেছে।[সহীহ বুখারী)
(৪৮)আল্লাহ তোমাদের চেহারা সুরত ও ধনসম্পদ দেখবেননা,তিনি দেখবেন তোমাদের অন্তর ও কাজ [সহীহ মুসলিম)
নোট :এখানে অন্তর মানে -উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বা নিয়্যত।
এই তিনটি হাদীস থেকে আমরা মানব জীবনে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বা নিয়্যতের গুরুত্ব জানতে পারলাম।সুতরাং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই যাবতীয় কাজ করা উচিত।
নৈতিক চরিত্র
(৪৯) মহত চরিত্রের পূর্ণতা দানের জন্যে আমার আগমন। [মুআত্তায়ে মালিক)
শব্দার্থ :‘আখলাকুন’ও‘খুলুকুন’ মানে -নৈতিক চরিত্র,ব্যবহার,আচার আচরণ।
(৫০)উত্তম চরিত্রের চাইতে বড় মর্যাদা আর নেই।[ইবনে হিব্বান)
(৫১)ঈমানের পূর্ণতা লাভকারী মুমিন তারা,যাদের নৈতিক চরিত্র সর্বোত্তম।[মিশকাত)
(৫২)তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ তারা,যাদের আচার ব্যবহার সবচেয়ে ভালো।[সহীহ বুখারী)
(৫৩)আল্লাহর নবীর চরিত্র ছিলো ঠিক কুরআনের মতো।[আয়েশা রাঃ সহীহ মুসলিম)
দীন
(৫৪)দীন খুব সহজ [সহীহ বুখারী
ব্যাখ্যা :দীন মানে – জীবন যাপন পদ্ধতি।
এখানো দীন মানে দীন ইসলাম। অর্থাৎ ইসলামের জীবন যাপন পদ্ধতি খুব সহজ।
(৫৫ ) দীন হলো – কল্যাণ কামনা। (সহীহ মুসলিম)
নোট : দীন ইসলামের মূল কথা হলো, নিজের এবং সকল মানুষের দুনিয়াবী ও পরকালীন কল্যাণ চাওয়া।
(৫৬ ) আল্লাহ যার ভালো চান, তাকে দীনের সঠিক জ্ঞান দান করেন। (সহীহ বুখারী)
আল্লাহর ভয়
(৫৭) জ্ঞানের মাথা হলো আল্লাহকে ভয় করা। (মিশকাত)
ব্যাখ্যা : অর্থাৎ যে আল্লাহকে ভয় করে সে – ই সবচেয়ে বড় জ্ঞানী।
(৫৮) আল্লাহকে ভয় করো, তাতেই সবচেয়ে বড় ইবাদতকারী হতে পারবে।(মিশকাত)
(৫৯) একজনের উপর আরেকজনের কোনো মর্যাদা নেই। তবে আছে আল্লাহ ভীতি ভিত্তির। (তিবরানী)
(৬০) সে ব্যক্তি দোযখে প্রবেশ করবেনা, যে আল্লাহর ভয়ে কাঁদে। (তিরমিযী)
শ্রেষ্ঠ আমল
(৬১) শ্রেষ্ঠ আমল হলো, আল্লাহর জন্যে ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যে ঘৃণা করা। (আবু দাউদ)
বিশ্বস্ততা
(৬২) যার মধ্যে আমানত নেই তার ঈমান নেই। (মিশকাত)
শব্দার্থ : আমানত মানে – বিশ্বস্ততা, বিশ্বাসযোগ্যতা।
(৬৩) যে অংগীকার রক্ষা করেনা, তার ধর্ম নেই। (মিশকাত)
দুনিয়ার জীবন
(৬৪) দুনিয়া মুমিনের জন্যে কারাগার আর কাফিরের বেহেশত। (সহীহ মুসলিম)
(৬৫)দুনিয়াতে এমন ভাবে জীবন যাপন করো যেনো তুমি একজন গরীব কিংবা পথিক। (সহীহ বুখারী)
(৬৬) অনাড়ম্বর জীবন যাপন ঈমানের অংশ। (আবু দাউদ)
মসজিদ
(৬৭) পৃথিবীতে মসজিদগুলোই আল্লাহর সবচাইতে প্রিয় জায়গা। (সহীহ মুসলিম)
(৬৮) আমার জন্যে গোটা পৃথিবীকেই সিজদার জায়গা এবং পবিত্র করে দেয়া হয়েছে। (সহীহ বুখারী)
(৬৯) যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ বানায়, আল্লাহ জান্নাতে তার জন্যে একটি ঘর বানায়। (সহীহ বুখারী)
মুয়াজ্জিন
(৭০) কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনের ঘাড় সবচেয়ে লম্বা উঁচু হবে। (সহীহ মুসলিম)
নিজের জন্যে পরের জন্যে
(৭১) নিজের জন্যে যা পছন্দ করো, অন্যদের জন্যেও তাই পছন্দ করবে, তবেই হতে পারবে মুমিন। (সহীহ মুসলিম)
(৭২) তোমাদের কেউ মুমিন হবেনা, যতোক্ষণ সে নিজের জন্যে যা পছন্দ করে, তার ভাইয়ের জন্যেও তাই পছন্দ না করবে। (সহীহ বুখারী)
আল্লাহই যথেষ্ট
(৭৩ ) যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, তার জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট। (ইবনে মাজাহ)
জ্ঞানী
(৭৪ ) জ্ঞানীরা নবীদের উত্তরাধিকারী। (তিরমিযী)
(৭৫) জ্ঞানবান আর দুনিয়াদার সমান নয়। (দারেমী)
(৭৬) সবচেয়ে মন্দ লোক জ্ঞানীদের মধ্যে যারা মন্দ তারা, আর সবচেয়ে ভালো লোক জ্ঞানীদের মধ্যে যারা ভালো তারা। (দারমী)
(৭৭) প্রতিটি জ্ঞান তার বাহকের জন্যে বিপদের কারণ, তবে যে সে অনুযায়ী আমল (কাজ) করে তার জন্যে নয়। (তাবরানী)
শিক্ষক
(৭৮ ) আমি প্রেরিত হয়েছি শিক্ষক হিসেবে। (মিশকাত)
(৭৯) শিক্ষাদান করো এবং সহজ করে শিখাও। (আদাবুল মুফরাদ)
সুধারণা কুধারণা
(৮০) সুধারণা করা একটি ইবাদত। (আহমদ)
(৮১) অনুমান ও কুধারণা করা থেকে বিরত থাকো, কেননা অনুমান হলো বড় মিথ্যা কথা। (সহীহ বুখারী)
যুলম
(৮২) যুলম করা থেকে বিরত থাকা। কেননা, কিয়ামতের দিন যুলম অন্ধকারের রূপ নেবে। (সহীহ মুসলিম)
(৮৩) মযলুমের ফরিয়াদ থেকে আত্মরক্ষা করো। (সহীহ বুখারী)
ভ্রাতৃত্ব
(৮৪) মুমিন মুনিনের ভাই। (মিশকাত)
(৮৫) মুসলমান মুসলমানের ভাই। (সহীহ বুখারী)
নোট : এ দুটি হাদীসে ঈমান এবং ইসলামকে ভ্রাতৃত্বের ভিত্তি বলা হয়েছে।
ভ্রাতৃত্বের দায়িত্ব
(৮৬) মুমিন মুমিনের আয়না। (মিশকাত)
শিক্ষা : আয়না যেমন ময়লা দূর করতে এবং সাজ সৌন্দর্য গ্রহণ করতে সাহায্য করে, তেমনি একজন মুমিনের কর্তব্য তার মুমিন ভাইয়ের দোষ ত্রুটি দূর ও সুন্দর গুণাবলী অর্জন করার কাজে সাহায্য করা।
(৮৭) মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ভাইয়ের প্রতি যুলম করেনা এবং তাকে অপমানিতও করেনা। (সহীহ মুসলিম)
(৮৮) মুমিন মুমিনের সাথে প্রাচীরের গাঁথুনির মতে মজবুত সম্পর্ক রাখে। (সহীহ বুখারী)
(৮৯ ) মুমিন ছাড়া অন্যকে সাথী বন্ধু বানাবেনা। (মিশকাত)
সুকৃতি দুস্কৃতি
(৯০) যে ভালো কাজের আদেশ করেনা এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করেনা, সে আমার লোক নয়। (তিরমিযী) বিনয়
(৯১ ) যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। (মিশকাত)
বিশ্বাস ভংগ করা
(৯২)যে তোমার সাথে বিশ্বাস ভংগ করেছে, তুমি তার সাথে বিশ্বাস ভংগ করোনা। [তিরমিযী)
আনুগত্য ও নেতৃত্ব
(৯৩) যে নেতার আনুগত্য করলো, সে আমারই আনুগত্য করলো। (সহীহ বুখারী)
(৯৪) যে নেতার অবাধ্য হলো সে আমার অবাধ্য হলো। (সহীহ বুখারী)
(৯৫) যে আল্লাহর অবাধ্য হয়, তার আনুগত্য করা যাবেনা। (কানযুল উম্মাল)
(৯৬) কারো এমন হুকুম মানা যাবেনা, যাতে আল্লাহর হুকুম অমান্য করতে হয়। (সহীহ মুসলিম)
(৯৭) যে নেতা হয়, তাকে সবার চেয়ে দীর্ঘ হিসাব চেয়ে দীর্ঘ হিসাব দিতে হবে। (কানযুল উম্মাল)
দান
(৯৮)দান হচ্ছে একটি প্রমাণ। (সহীহ মুসলিম)
(৯৯) যে আল্লাহর পথে একটি দান করে, আল্লাহ তার জন্যে সাতশ ; গুণ লিখে দেন। (তিরমিযী)
(১০০) দান সম্পদ কমায়না। (তিবরানী)
Read More in Next Page here >>