মহানবী (সা) এর ৩২৪ টি মহামূল্যবান হাদীস


ভালো ব্যবহার
(১০১ ) যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেনো উত্তম কথা বলে। (সহীহ বুখারী)
(১০২ ) তোমার ভাইয়ের দিকে হাসি মুখে তাকানো একটি দান।(তিরমিযী)
(১০৩) যে মানুষের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা, সে আল্লাহরও কৃতজ্ঞ হয়না। (আবু দাউদ)
অর্থ ও আল্লাহ ভীতি
(১০৪) যে আল্লাহকে ভয় করে, তার ধনী হওয়াতে দোষ নেই। (মিশকাত)
(১০৫) যে আল্লাহকে ভয় করে, তার জন্যে অর্থের প্রাচুর্যের চেয়ে শারীরিক সুস্থতা উত্তম। (মিশকাত)
সত্য মিথ্যা
(১০৬) সত্য দেয় মনের শান্তি আর মিথ্যা দেয় সংশয়। (তিরমিযী)
প্রফুল্লতা
(১০৭) মনের প্রফুল্লতা আল্লাহর একটি অনুগ্রহ। (মিশকাত)
ক্ষতিগ্রস্থ লোক
(১০৮) যার দুটি দিন সমান গেলো, সে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। (দায়লমী)
ব্যাখ্যাঃ হাদীসটির মর্ম হলো, যে ব্যক্তি প্রতিদিন নিজেকে আগের দিনের চেয়ে এক ধাপ উন্নত কতে পারেনা, কিছু‌টা এগিয়ে নিতে পারেনা, সে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পিছিয়ে পড়ে।
ভালো মানুষ
(১০৯ )তোমাদের মধ্যে ভালো মানুষ তারা, যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। (ইবনে মাজাহ)
খাবার আদব
(১১০) ডান হাতে খাও এবং যা নিকটে তা থেকে খাও। (সহীহ বুখারী)
মেহমানদারি
(১১১) যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেনো নিজের মেহমানকে সম্মান -যত্ন করে। (সহীহ বুখারী) ভালো কাজ
(১১২) প্রতিটি ভালো কাজ একটি দান। (সহীহ বুখারী)
(১১৩) উত্তম লোক সে, যার বয়স হয় দীর্ঘ আর কর্ম হয় সুন্দর। (তিরমিযী)
মুসলমানের অধিকার
( ১১৪) মুসলমান সে, যে নিজের অনিষ্টকর ভাষা ও কর্ম থেকে মুসলমানদের নিরাপদ রাখে। (সহীহ বুখারী)
(১১৫) মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী আর হত্য করা কুফরী। (সহীহ বুখারী)
(১১৬) প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে অপর মুসলমানদের রক্ত, সম্পদ ও ইজ্জত সম্মানযোগ্য। (সহীহ মুসলিম)
ব্যাখ্যা : হাদীসটির অর্থ এভাবেও বলা যায় :
মুসলমানের জন্যে মুসলমানের রক্তপাত করা এবং সম্পদ ও ইজ্জত নষ্ট করা হারাম।
মুহাজির
(১১৭) মুহাজির সে,যে আল্লাহর নিষেধ করা কাজ ত্যাগ করে। (সহীহ বুখারী)
শোকর ও সবর
(১১৮) যে খেয়ে শোক আদায় করে, সে ধৈর্যশীল রোযাদারের সমতূল্য। (তিরমিযী)
(১১৯) সবর হলো আলো। (সহীহ মুসলিম)
ধোকা হিংসা বিদ্বেষ
(১২০) যে কাউকেও প্রতারণা করলো সে আমার লোক নয়। (সহীহ মুসলিম)
(১২১ ) সাবধান! তোমরা হিংসা করা থেকে আত্মরক্ষা করো। (আবু দাউদ)
(১২২) তোমরা একে অপরের প্রতি হিংসা করোনা, ঘৃণা বিদ্বেষ কারো না এবং পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়োনা। (সহীহ মুসলিম) শিশু
(১২৩) শিশুরা আল্লাহর ফুল।(তিরমিযী)
পরিজনের কাছে উত্তম
(১২৪) তোমাদের মাঝে উত্তম লোক সে, যে তার পরিবার পরিজনের কাছে উত্তম। (ইবনে মাজাহ)
জনসেবা
(১২৫)রোগীর সেবা করো এবং ক্ষুধার্তকে খেতে দাও। (সহীহ বুখারী)
(১২৬ আল্লাহ সকল কিছুর প্রতি দয়া ও সহানুভূতি দেখাবার নির্দেশ দিয়েছেন। (সহীহ মুসলিম)
(১২৭)আল্লাহ ততোক্ষণ বান্দাহর সাহায্য করেন, যতোক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে। (সহীহ মুসলিম)
(১২৮) যে তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করেন। (সহীহ বুখারী)
(১২৯) তোমার ভাইয়ের বিপদে আনন্দ প্রকাশ করোনা। (তিরমিযী)
ব্যক্তিত্ব গঠন
(১৩০) মুসলমান ব্যক্তির ইসলামনের সৌন্দর্যগুলোর একটি হলো, নিরর্থক কথা ও কাজ ত্যাগ করা। (তিরমিযী)
(১৩১ ) লজ্জা ঈমানের অংশ। (মিশকাত)
(১৩২ )যখন সাহায্য চাইবে, আল্লাহর কাছে চেয়ো। (মিশকাত)
আল্লাহকে স্মরণ করা
(১৩৩) যে তার প্রভুকে স্মরণ করে, আর যে করেনা, তাদের উদাহরণ হলো জীবিত ও মৃতের মতো। (সহীহ মুসলিম)
সত্য কথা
(১৩৪) সত্য কথা বলো, যদিও তা তিক্ত। (ইবনে হিব্বান)
কর্মকৌশল
(১৩৫) প্রচেষ্টার চেয়ে বড় কোনো যুক্তি নাই। (ইবনে হিব্বান)
নিন্দুক
(১৩৬) কোনো নিন্দুক জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। (বুখারী)
রাগ
(১৩৭) রাগে উত্তেজিত হলে চুপ করে থাকো। (আদাবুল মুফরাদ)
(১৩৮)তোমাদের কেউ যখন উত্তেজিত হবে, সে যেনো অযু করে আসে। (আবু দাউদ)
অহংকার
(১৩৯) যার মনে বিন্দু পরিমাণ অহংকার আছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। (সহীহ মুসলিম) সালাম
(১৪০) তোমাদের মাঝে সালাম আদান প্রদানের ব্যাপক প্রচলন করো। (সহীহ মুসলিম)
(১৪১) সবচেয়ে কৃপণ লোক সে, যে সালাম আদান প্রদানে কৃপণতা করে। (তিবরানী)
দয়া ও ভালোবাসা
(১৪২) যারা পৃথিবীতে আছে তাদের দয়া করো, তাহলে যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাকে দয়া করবেন। (মিশকাত)
(১৪৩) যে মানুষের প্রতি দয়া করেনা, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেননা। (সহীহ বুখারী)
(১৪৪) তোমরা মুমিন হবেনা যতোক্ষণ একে অপরকে ভালোবাসবেনা।
শরীরের অধিকার
(১৪৫) তোমরা উপর তোমার শরীরের অধিকার রয়েছে। (সহীহ বুকারী)
ব্যাখ্যা : শরীরের অধিকার হলো, শরীর সুস্থ রাখা ও বিশ্রাম নেয়া।
প্রতিবেশীর অধিকার
(১৪৬) প্রতিবেশীর প্রতি সুন্দর সহানুভূতির আচরণ করো, তবেই মুমিন হবে। (মিশকাত)
(১৪৭) সে মুমিন নয়, যে নিজে পেট পূরে খায় আর পাশেই তার প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে। (বায়হাকী)
প্রাচুর্য
(১৪৮) মনের প্রাচুর্যই আসল প্রাচুর্য। (সহীহ বুখারী)
(১৪৯) আল্লাহ তোমার ভাগে যা রেখেছেন, তাতে সন্তুষ্ট থাকো, তবেই হবে সবচেয়ে প্রাচুর্যশালী। (মিশকাত)
(১৫০) যার উদ্দেশ্য হয় পরকাল লাভ করা, আল্লাহ তার অন্তরে প্রাচুর্য দান করেন। (তিরমিযী)
জান্নাত ও জাহান্নাম
(১৫১) জান্নাত এতই আকর্ষণীয় যে, তার আকাংখীর চোখে ঘুম আসেনা। (তিবরানী)
(১৫২) দোযখ এতোই ভয়াবহ যে, তার থকে পলায়নকারীর চেখে ঘুম আসেনা। (তিবরানী)
মনের মরিচিকা
( ১৫৩)মনের মধ্যে লোহার মতোই মরিচিকা পড়ে।। আর তা দূর করার উপায় হলো ক্ষমা প্রর্থনা করা। (বায়হাকী) অধীনস্থ
(১৫৪) অধীনস্থদের সাথে নিকৃষ্ট আচরণকরী জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। (আহমদ]
মৃতদের গালি না দেয়া
(১৫৫) মৃতদের গালি দিয়োনা।
উড়ো কথা প্রচার না করা
(১৫৬) প্রতিটি শোনা কথা বলে বেড়ানোটাই মিথ্যাবাদী হবার জন্যে যথেষ্ট। (সহীহ মুসলিম)
মর্যাদা দান
(১৫৭) মর্যাদা অনুযায়ী মানুষকে সমাদর করো। (আবু দাউদ)
সতর্কতা
(১৫৮) মুমিন এক পাথরে দুইবার হোঁচট খায়না। (সহীহ বুখারী)
অট্টহাসি
(১৫৯) অধিক হাসাহাসি অন্তরকে মেরে ফেলে। (তিবরানী)
সন্তান
(১৬০) তোমাদের সন্তানদের মর্যাদা দান করো এবং তাদের সুন্দর আচার ব্যবহার শিখাও। (ইবনে হিব্বান)
শক্তিমান কে ?
(১৬১) শক্তিশালী সে, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। (সহীহ মুসলিম)
অধঃপতন
(১৬২) যার কর্ম তাকে ডুবায়, তার বংশ তাকে উঠাতে পারেনা। (সহীহ মুসলিম)
শাসক হবে তেমন
(১৬৩) তোমরা হবে যেমন, তোমাদের শাসকও হবে তেমন। (মিশকাত)
অপরের দোষ
(১৬৪) যে ব্যক্তি একজন মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন। (সহীহ মুসলিম)
আল্লাহর বিধান পালন
(১৬৫) হারাম থেকে বেঁচে থাকো, আল্লাহ তোমাকে হিফাযত করবেন। (তিরমিযী)
সৌভাগ্য
(১৬৭) আল্লাহর সিদ্ধান্ত সন্তুষ্ট থাকতে পারা আদম সন্তানের একটি সৌভাগ্য। (তিরমিযী)
কি নিয়ে উঠবে ?
(১৬৮) প্রতিটি বান্দা কিয়ামতে তাই নিয়ে উঠবে, যা নিয়ে সে মরেছে। (সহীহ মুসলিম)
নেতা
(১৬৯) নেতা হবে মানুষের সেবক। (দায়লমী)
(১৭০) তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককেই তার দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
(১৭১)মানুষের অবস্থা উটের মতো, একশটি উটের মধ্যে ও একটি ভালো সোয়ারী পাওয়া যায়না। (সহীহ মুসলিম) জামাতবদ্ধতা
(১৭২) জামাদের প্রতি আল্লাহর রহমত থাকে। যে জামাত ত্যাগ করে, সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়। (তিরমিযী)
মতভেদ
(১৭৩) মতভেদ কারোনা। তোমাদের পূর্বে যারা মতভেদ করেছিল, তারা ধ্বংস হয়েছে। (সহীহ বুখারী) আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তি
(১৭৪) গোটা সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার। যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবারের জন্যে বেশী উপকারী, সে তাঁর কাছে বেশী প্রিয়। (সহীহ মুসলিম)
রসূলুল্লাহ সাঃ
(১৭৫) আমি রসূলুল্লাহ (সা) চাইতে অধিক সুন্দর কোনো কিছু দেখিনি। (আবু হুরাইরা রা) তিরমিযী)
(১৭৬) আমি কাউকেও রসূলুল্লাহর (সা) চাইতে দ্রুত চলতে দেখিনি। (আবু হুরাইরা রাঃ তিরমিযী)
(১৭৭) রসূলুল্লাহ (সাঃ) কাছে কিছু চাওয়া হয়েছে আর তিনি ‘না’ বলেছেন, এমন কখনো হয়নি। (জাবির : সহীহ বুখারী)
(১৭৮) রসূলুল্লাহ (সাঃ) রোগীর সেবা করতেন এবং কফিনের সাথে যেতেন। (আনাস রাঃ ইবনে মাজাহ)
(১৭৯) রসূলুল্লাহ (সা) দীর্ঘ সময় চুপ থাকতেন। (জাবির বিন সামু রাঃ শরহে সুন্নাহ)
(১৮০) রসূলুল্লাহ (সা) যখন কথা বলতেন, তখন কেউ ইচ্ছে করলে তাঁর বক্তব্যের শব্দ সংখ্যা গুণে নিতে পারতো। (আয়েশা রাঃ সহীহ বুখারী)
(১৮১) রসূলুল্লাহ (সা) কথা বলতেন থেমে থেমে স্পষ্ট করে। (জাবির রাঃ আবু দাউদ)
(১৮২) রসূলুল্লাহ (সা) সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করলে বিনিময়ে তিনি খারাপ ব্যবহার করতেন না, বরং ক্ষমা করে দিতেন এবং উপেক্ষা করতেন। (আয়েশা রাঃ তিরমিযী)
(১৮৩) আমি প্রেরিত হয়েছি রহমত হিসেবে। (সহীহ মুসলিম)
(১৮৪) সুখবর তার জন্যে, যে আমাকে দেখেছে। সাতবার সুখবর ঐ ব্যক্তির জন্যে যে আমাকে দেখেনি, অথচ আমার প্রতি ঈমান এনেছে। (আহমদ)
সাহাবায়ে কিরাম
(১৮৫ ) আমার উম্মতের উত্তম লোক হলো আমার সময়ের লোকেরা। (সহীহ বুখারী)
(১৮৬) আমার সাহাবীদের সম্মান দান করো, কারণ তারা তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। (মিশকাত)
(১৮৭) আমার সাহাবীদের গালি দিওনা। (সহীহ বুখারী)
আবু বকর রাঃ
( ১৮৮) আমি যদি আমার প্রভুকে ছাড়া আর কাউকেও বন্ধু বানাতাম, তবে অবশ্যি আবু বকরকে বন্ধু বানাতাম। (সহীহ বুখারী)
(১৮৯) হে আবু বকর! (পর্বত) গুহায় তুমি আমার সাথী ছিলে, হাউজে কাউসারেও তুমি আমার সাথী থাকবে। (তিরমিযী)
(১৯০ ) নিজের সাথীত্ব ও অর্থ দিয়ে আমাকে সকলের চেয়ে অধিক সহযোগিতা করেছে আবু বকর। (সহীহ বুখারী)
(১৯১) হে আবু বকর ! আমার উম্মতের মধ্যে তুমিই সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদ) উমর রাঃ
(১৯২) আল্লাহ উমরের যবান ও অন্তরে সত্য সন্নিবেশ করে দিয়েছেন।(তিরমিযী)
(১৯৩) আমার পরে যদি কেউ নবী হতো, তবে অবশ্যি উপর বিন খাত্তাব হতো। (তিরমিযী) শ্রেষ্ঠ নারী
(১৯৪)পৃথিবীর সর্বোত্তম নারী ইমরানের কন্যা মরিয়ম আর খুয়াইলিদের কন্যা খাদীজা। (সহীহ বুখারী) নোট : মরিয়ম ছিলেন হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের মা, আর খাদীজা ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী।
দু’ আর নিয়ম ও গুরুত্ব
(১৯৫)যখন কিছু প্রার্থনা করবে, আল্লাহর কাছে করবে। (মিশকাত)
(১৯৬)দু’আ ইবাদত। (তিরমিযী)
(১৯৭) দু’আ ইবাদতের মস্তিস্ক। (তিরমিযী)
(১৯৮) আল্লাহর কাছে তাঁর অনগ্রহ চাও। তাঁর কাছে প্রার্থনা করাকে আল্লাহ খুবই পছন্দ করেন। [তিরমিযী)
( ১৯৯) যে আল্লাহর কাছে চায়না, আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হন। (তিরমিযী)
(২০০) আমি আল্লাহর কাছে দিন একশ’ বার ক্ষমা প্রার্থনা করি। (সহীহ মুসলিম)

Read More in Next Page here >>

Share now

Page: 1 2 3 4